কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
আগে শীত পড়লেই পাড়ায় পাড়ায় তুলো ধুনে লেপ, তোষক তৈরির হিড়িক পড়ে যেত। এখন লেপ, তোষকের জায়গা নিয়েছে রেডিমেড ব্ল্যাঙ্কেট। ওজনে হাল্কা, আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি রংবেরংয়ের হওয়ায় প্রতি শীতেই ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। মূলত পাঞ্জাব, গুজরাত, হরিয়ানা থেকে আনা সস্তার ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সেসব ব্ল্যাঙ্কেট নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করার পাশাপাশি অস্থায়ী দোকানও দেওয়া হয়েছে।
ব্ল্যাঙ্কেট ফেরিওয়ালা আজিজুল হক বলেন, সত্যি কথা বলতে মানুষ বড় দোকানে গিয়ে দরদাম করে না। তবে আমরা যে দাম বলি, ক্রেতারা তার এক-তৃতীয়াংশ দাম থেকে দরাদরি শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝেই দাম বাড়িয়ে বলতে হয়। বিক্রি ভালোই হয়। বহরমপুরের উত্তরপাড়া মোড় থেকে রাধারঘাট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের দু’পাশে চার জায়গায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। পাঞ্জাব থেকে তাঁরা একসঙ্গে লরিতে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক আনেন। সেখানে ব্ল্যাঙ্কেট তাঁরা কেজি দরে কিনে নেন। এখানে এসে পিস হিসেবে বিক্রি করেন। বিক্রেতা হজরত শেখ বলেন, ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা দামের ব্ল্যাঙ্কেট রয়েছে। ওজন এবং গুণমান অনুযায়ী দাম ঠিক করা হয়। রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসার পথে ব্ল্যাঙ্কেট দেখে অনেকেই কিনছেন। শোয়েটারও বিক্রি হচ্ছে।
বহরমপুরের এফইউসি মাঠ ও রানিবাগান মন্দির মাঠে প্রতি বছর হিমাচলপ্রদেশ থেকে শতাধিক শীতবস্ত্র বিক্রেতা হাজির হন। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় ভাষায় এটি ‘ভুটিয়া বাজার’ নামেই পরিচিত। দু’টি জায়গাতেই এই বাজার জমে উঠছে।