উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জেলাশাসক দপ্তরের কনফারেন্স হলে এদিন বিকেল ৩টে থেকে ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত প্রার্থীদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এদিন কল্যাণবাবুর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কল্যাণবাবু এদিন কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পদযাত্রায় ছিলেন। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকবে বলে বৈঠকে বিরোধী দলের প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে থাকবে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। ১০০ মিটার দূরে রাজনৈতিক দলগুলির ক্যাম্প হবে। প্রতি টেবিল পিছু একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট দিতে পারবেন প্রার্থীরা। পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে আলাদা এজেন্ট দিতে হবে। প্রতি বিধানসভা পিছু কত গুলি করে টেবিল হবে, তা জেলা প্রশাসনের তরফে পরে প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। দুই কেন্দ্রেই ১৪ রাউন্ড করে গণনা হবে।
অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে গণনা কেন্দ্রেই কারচুপি করছিল শাসক দলের এজেন্টরা। তাই লোকসভা নির্বাচনেও গণনায় কারচুপি হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকায় আশ্বস্ত হয়েছেন তাঁরা। বিজেপির নদীয়া(দক্ষিণ) জেলা সভাপতি তথা রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা গণনা কেন্দ্রের ভিতরে থাকবে। সেক্ষেত্রে শাসক দলের এজেন্টরা দাপাদাপি করতে পারবে না। আমরা প্রতিটি টেবিলেই এজেন্ট দেব। তার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
রানাঘাট কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিনতি বিশ্বাসকে সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক নওশাদ আলি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনিক কর্তারা আশ্বাস দিয়েছে, গণনায় কারচুপি হবে না। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইভিএম গণনা হোক। প্রতি টেবিলে হয়তো আমরা এজেন্ট দিতে পারব না। কারণ, সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে যত সংখ্যক বেশি এজেন্ট দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ভোটের ফল নিয়ে যতই বিরোধীরা লাফালাফি করুক, ইভিএম খুললে কেবলই ঘাসফুল বের হবে। অন্য কোনও ফুলের দেখা মিলবে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে কৃষ্ণনগর শহরের বিপ্রদাস পালচৌধুরি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আর রানাঘাট কেন্দ্রের গণনা হবে রানাঘাট কলেজে।