শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
মূলত অন্যতম অভিযুক্ত মদন মিত্র’র হয়ে হলেও, আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা সামগ্রিকভাবে সব অভিযুক্তের হয়েই দাবি করেন, বিচারপতি বা বিচারকরা যে সাংবিধানিক শপথ নেন, সেইমতোই সেদিন বিচার করেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক। কিন্তু, সিবিআই যে তত্ত্বের কথা বলছে, তা মেনে নেওয়া হলে সেই শপথ কেবলই কিছু কাগজের টুকরো হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আমরা বিচারব্যবস্থার ভয়হীন ও কাউকে আনুকূল্য না দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশংসা করি। যা সিবিআই আদালতের রায়েই স্পষ্ট। কোনওমতেই বলা যাবে না যে, ওই বিচারক আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন। তাই গণবিক্ষোভ বা চাপের পরিস্থিতির যে সওয়াল সিবিআই করেছে, তা ভিত্তিহীন।
সেই রায় পছন্দ না হলে তা চ্যালেঞ্জ করা যেত। কিন্তু, যেহেতু রায় বিরুদ্ধে গিয়েছে, তাই মামলা অন্যত্র সরানোর দাবিতে কোনও যুক্তি নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিবিআই বলতে চেয়েছে যে, বিচারপতি বা বিচারকরাও অভ্রান্ত নন। তাঁরাও মানুষ। কম্পিউটার নন। তাঁর চারপাশের পরিস্থিতি এমন হওয়া অনুচিত, যার ফলে তিনি তাঁর শপথ পালন করতে না পারেন। বেঞ্চ এও জানতে চায়, বিচারকের উপর সেদিন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা কি হয়েছিল? বা, চারপাশে হওয়া ঘটনাক্রম তাঁর উপর চাপ কি সৃষ্টি করেছিল? লুথরার মতে, সিবিআই সবকিছুই অতিরঞ্জিত করছে।
তিনি এদিন দাবি করেন, নিজাম প্যালেসে জনতার আক্রমণের সংবাদ ১৭ মে ২.৩৫ মিনিটে হাইকোর্টকে জানানোর আগেই তা রাজ্যপাল ও অন্যান্য আইনজীবীদের পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে মদন মিত্রকে বাড়ি থেকে তুলে আনলেও, অ্যারেস্ট মেমোতে গ্রেপ্তারস্থল নিজাম প্যালেস। সরকারি পদাধিকারীকে গ্রেপ্তারের আগে সরকারি অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়েছে পরে। সিবিআই এভাবে নিজেরাই এই মামলায় হয় আইন মানেনি, নয় মিথ্যাচার করছে বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর মতে, দায়িত্বশীল নয়, সিবিআইকে দায়িত্বজ্ঞানহীন সংস্থা বলা উচিত।