শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সোমবার বজ্রাঘাতে মুর্শিদাবাদ জেলায় ন’জনের মৃত্যু হয়। বহরমপুরে দু’জন ও জঙ্গিপুর মহকুমায় সাতজন মারা যান। এদিন তিনি মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দলের তরফে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। মৃতদের পরিবার থেকে তাঁর কাছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আবেদন জানায়। বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার আশ্বাস দেন। মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফেও দু’লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পর অভিষেকবাবু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের কলাপাতায় ভাত খাওয়া, খাটে বসে ছবি তোলার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। মার্চ-এপ্রিল মাসে ওঁরা গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। কিন্তু ভোটের পর আর তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও নয়। এর জন্যই বলা হয়, বহিরাগত আসে যায়, বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়। তৃণমূলকে সুখে না পেলেও দুঃখের দিনে মানুষ পাশে পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের যে কোনও বিপদে পাশে থাকবে।
অভিষেকবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, যে দল তাদের ১০জন নেতাকে একছাতার তলায় আনতে পারে না, তারা আবার বড় বড় কথা বলছে। ওরা আগে ওদের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাক। বিজেপি নেতারা মুখে বড় বড় কথা বলেন। অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করেন না। তৃণমূল যা বলে সেটাই করে। বিজেপির সঙ্গে এটাই আমাদের পার্থক্য।
বিপদের দিনে রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ানোয় মৃতদের পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন বহরমপুরের বানজেটিয়ার অভিজিৎ বিশ্বাস। তাঁর স্ত্রী পিয়ালী বিশ্বাস বলেন, আমাদের আট বছরের এক ছেলে ও ১৩ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত। ওর মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন বাড়িতে এসে অভিষেকবাবু সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। দুর্দিনে তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাতে আমাদের মনোবল বেড়েছে।
এদিন অভিষেকবাবু হেলিকপ্টারে বহরমপুর স্টেডিয়ামে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে হাতিনগরে মৃত দু’জনের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তারজন্য কোনও পদের দরকার হয় না। দুপুরে রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুর হাইস্কুল মাঠে নামেন অভিষেক। নওদা পিরপাড়ায় গিয়ে মৃতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।