শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
দলীয় সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন, এমন ৩৪ জনকে বিজেপি নিজেদের পতাকা ধরিয়েছিল। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গের বাম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় ভোটের অনেক আগেই মারা যান। চলতি বিধানসভা ভোটে দলবদলু সেই ৩৩ বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১৮ জনকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে থেকে মাত্র পাঁচজন এবারের ভোটে জিততে পেরেছেন। তাঁরা হলেন বিশ্বজিৎ দাস, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, টিকিট না পাওয়া ১৫ জন প্রাক্তন বিধায়কের মধ্যে ছ’জন ইতিমধ্যেই বিজেপি’র সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বাচ্চু হাঁসদা, অমল আচার্য, সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস এবং মণিরুল ইসলাম। চলতি বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র টিকিটে গোহারা হেরেছেন একাধিক হেভিওয়েট। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, শুভ্রাংশু রায়, শীলভদ্র দত্ত, বৈশালী ডালমিয়া, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিজেপি সূত্রের দাবি, একাধিক প্রাক্তন বিধায়ক, যাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রাখছেন। যে কোনও দিন তৃণমূলে ফিরে যাবেন। স্বভাবতই দলবদলুদের নিয়ে বাজিমাতের যে পরিকল্পনা দিল্লির নেতারা করেছিলেন, তা ডাহা ফেল। এমনটাই মনে করে রাজ্য নেতাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মতো দলের আদি কর্মীরা সামনে থেকে লড়লে এত খারাপ ফল হতো না।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দিল্লির নেতারা ভেবেছিলেন, বিভিন্ন দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে আনলেই সাফল্য মিলবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। আমি নিশ্চিত, নিচুতলার যে নেতা-কর্মীরা ২০১৯ দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন, তাঁরা ফের নতুন উদ্যমে ঝাঁপাবেন। এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায়। তাঁর কথায়, বিধায়ক কিনে চমক দিতে গিয়েছিলেন মোদিবাবুরা। বাংলার মানুষ তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন।