শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ২০০টিরও বেশি আসনে জয়ের দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। কিন্তু তিন অঙ্কেই পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। দলের অন্দরের খবর, প্রকাশ্যে ভালো ফলের দাবি করলেও আদতে এহেন বিপর্যয়ের জেরে বঙ্গ বিজেপিতে একে অপরকে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। বাংলা নিয়ে ভুল সাংগঠনিক রিপোর্টের ফলেই পশ্চিমবঙ্গে দলের এই খারাপ ফল হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একটি অংশ। এই পরিস্থিতিতে যদি বঙ্গ বিজেপির তিনজন এমপি আলাদা করে ভোট বিপর্যয় নিয়ে জে পি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেন, তাহলে তা দিলীপ ঘোষ শিবিরের জন্য চরম অস্বস্তির কারণ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ ব্যাপারে ওই তিনজন সংসদ সদস্যর কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। তবে বৃহস্পতিবার জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মেলেনি। বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষনেতারা ব্যস্ত। পাশাপাশি, দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নির্ধারিত কর্মসূচির কারণেই এদিন সময় মেলেনি।
সামগ্রিক বিষয়ে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘এমপিদের দিল্লিতে আসা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। হয়তো সংসদীয় কমিটির বৈঠক আছে। রাজ্য বিজেপিতে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে নিয়মিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’ বিজেপির অন্দরের খবর, জে পি নাড্ডার সঙ্গে দলের এমপিদের কথা হোক বা না হোক, তাঁরা যে আলাদাভাবে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন, এটিই যথেষ্ট অস্বস্তির। ইতিপূর্বে জে পি নাড্ডার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করে গিয়েছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দু’দিন ধরে দিল্লিতে থেকে আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। অর্থাৎ, দিলীপ শিবিরের জন্য অস্বস্তি কাটার লক্ষণ নেই।