পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা কিশোরী। তার বয়স ১৭ বছর। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই এলাকাতেই নাবালিকার বাড়ির পাশের গলিতে থাকে সরফরাজ। ওই কিশোরী ও সরফরাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক বন্ধু। কিন্তু, তাদের মধ্যে কোনও কথা হতো না। সম্প্রতি একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে অভিযুক্ত যুবক। তারপর থেকেই দু’জনের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা শুরু হয়। গত ৩১ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় সরফরাজ। তাতে সম্মতি জানায় নাবালিকা। যুগলে মিলে ঠিক করে প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহের প্রতিদিন উদাযাপন করা হবে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ‘প্রমিস ডে’তে বন্ধুর ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠানো হয় নাবালিকাকে। বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার নর্থ রেঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ সইফ। পুলিস জেনেছে, সইফ সরফরাজের ছোটবেলার বন্ধু। সন্ধ্যাবেলায় সেখানে যায় নাবালিকা। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মদ্যপান হয় ওই ফ্ল্যাটে। এরপরেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সরফরাজ। বাদ যায়নি সইফও। সেও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, কুকাজের মুহূর্ত মোবাইলে ক্যামেরায় ভিডিও করে রাখে দুই যুবক। নাবালিকার অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে জানালে, সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুই অভিযুক্ত। ওইদিন রাতে বাড়ি ফিরে পরিবারকে কিছুই জানায়নি ওই নির্যাতিতা। পরের দিন শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রশ্ন করায়, গোটা বিষয়টি খোলসা করে নাবালিকা। এরপরেই নির্যাতিতার পরিবার বেনিয়াপুকুর থানার দ্বারস্থ হয়। পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর কেস রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত চলছে। ভিডিও তোলা হয় যে মোবাইলে, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওইদিন নাবালিকার পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমস্ত নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।