পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর মেলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা সমীর শীলের পাঁচ বছরের মেয়ে জ্বর এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় কাবু হয়ে পড়েছিল। তাকে নিয়ে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন সমীরবাবু। অভিযোগ, চিকিৎসার পর মেয়েকে নিয়ে যখন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁকে মেয়ের করা বমি পরিষ্কার করে দিয়ে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সাফাইকর্মীর পরিবর্তে কেন তিনি পরিষ্কার করবেন? পাল্টা প্রশ্ন করেন সমীরবাবু। উত্তরে চিকিৎসক সটান জানিয়ে দেন, ‘হাসপাতালে সাফাইকর্মী নেই। যেহেতু আপনার মেয়ে বমি করেছে, তাই আপনাকেই পরিষ্কার করে দিতে হবে।’ এরপর সমীরবাবুকে সেই বমি পরিষ্কার করতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। এদিন তিনি বলেন, ‘আমার পাঁচ বছরের মেয়েটা তখন জ্বরে কাবু। আমি তাকে ছেড়ে কীভাবে বমি পরিষ্কার করতে যেতে পারি? এটা অমানবিক নয়! আমি চাই এরকম ঘটনা যেন আর কোনও বাবার সঙ্গে না ঘটে।’
এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত কমিটি গঠনে উদ্যোগী হন হাসপাতাল সুপার তারক বর্মণ। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বিষয়টি। সবকিছুই মানবিকতার সঙ্গে দেখতে হবে।’ যদিও বমি পরিষ্কার করার জন্য জোর করেননি বলেই দাবি অভিযুক্ত চিকিৎসক তন্ময় সরকারের। তাঁর কথায়, ‘উনি নিজেই বলেছিলেন বমি পরিষ্কার করে দেবেন। আমি অনুরোধ করেছিলাম, কারণ রাতে হাসপাতালে সাফাইকর্মী ছিলেন না। আমি খানিকটা তুলো দিয়েছিলাম ওঁর হাতে। এটা নিয়ে যদি উনি অভিযোগ করেন, তাহলে আর কী করা যেতে পারে!’
গোটা ঘটনায় স্বাস্থ্যদপ্তর রিপোর্ট তলব করেছে বলেও সূত্রের খবর। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে ‘জানি না’ বলেই মন্তব্য করেছেন নদীয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমি একটি তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই গড়ে দিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। দ্রুত রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে। ’