পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
মাস দুই আগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে অসম এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলি। পরে সংগঠনের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ নুর ইসলাম. বাংলাদেশের নাগরিক শাদ রবি সহ অন্যরা গ্রেপ্তার হয়। এসটিএফের অফিসাররা জানার চেষ্টা করছিলেন ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য তহবিল কোথা থেকে আসছে। ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে একাধিক ই-ওয়ালেটের খোঁজ মেলে। ই-ওয়ালেটের সূত্র ধরে জানা যায় এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে কেরলের বিভিন্ন ঠিকানায়। এমনকী মুর্শিদাবাদের ঠিকানাও রয়েছে। তদন্তে ধরা পড়ে এই রাজ্য থেকে কেরলে কাজে যাওয়া ব্যক্তিদের একাংশ টাকা পাঠাচ্ছে মিনারুলের অ্যাকাউন্টে। এক একজন দেড়-দু’হাজার টাকা পাঠাচ্ছিল। কিন্তু সংগঠনের বিস্তার যেভাবে হয়েছে এবং বিস্ফোরক তৈরির জন্য বিভিন্ন কাঁচামাল নুর ও শাদ রবি যেভাবে কিনছিল, তাতে এসটিএফের আধিকারিকরা বুঝতে পারেন, শুধুমাত্র কেরল থেকে আসা টাকায় তা সম্ভব নয়। এসটিএফের জেরায় আইইডি বিশেষজ্ঞ নুর জানায়, কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকা থেকে তাদের কাছে টাকা আসছে। সেখানে এবিটির প্রতি সহানুভুতিশীল ব্যক্তিরা টাকার জোগান দিচ্ছে।
নুর তদন্তকারীদের জানায়, তার নির্দেশমতো মেটিয়াবুরুজ এলাকায় ২০২৪ সালে গিয়েছিল মিনারুল ও আব্বাস। এই দুই জঙ্গির পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি রয়েছে এই এলাকায়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই দু’জন বলে মুর্শিদাবাদে এবিটিকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ শুরু করেছে তারা। সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতে বা কারও বাড়ি ভাড়া নিয়ে খারিজি মাদ্রাসা তৈরি করে সেখানে প্রশিক্ষণ চলছে। কিন্তু তারা জমি কিনে খারিজি মাদ্রাসা তৈরি করতে চায়। এরজন্য যে টাকা দরকার, তা তাদের কাছে নেই। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে না। নুরের পরামর্শমতো একটি প্যাড ছাপায় মিনারুল। তাতে লেখা হয় খারিজি মাদ্রাসায় তৈরিতে অর্থ সাহায্য করা হোক। মিনারুলের ওই পরিচিত ব্যক্তি তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার কথা বলে। তারা রাজি হলে মিনারুল ও সাব্বিরকে নিয়ে যায় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, সেখান থেকে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে মুর্শিদাবাদে ফিরে যায়। পরে আরও কয়েকবার এসে টাকা নিয়ে গিয়েছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় মেটিয়াবুরুজর বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জেএমবিকে অর্থ সাহায্য করেছিল বলে তদন্তে জানা যায়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এবিটিকে চাঙ্গা করতে তহবিল গড়ার টাকার জোগান দিচ্ছে এই এলাকা।