সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
উত্তর শহরতলিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতিটি পুরসভাতেই কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তখন এ নিয়ে ক’দিন হইচই হয়। তারপর ফের তা থিতিয়ে যায়। তখন ‘রিভাইজড প্ল্যান’-এর নামে ঘুরপথে নতুন খেলা শুরু হয়। রাজ্য সরকার অবৈধ নির্মাণ নিয়ে যতই আইন তৈরি করুক না কেন, অসাধু প্রোমোটাররা ঠিক ঘুরপথে নির্মাণ করে চলেছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় এই সমস্যা সব থেকে বেশি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, একটি অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসন ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরসভাকে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন পুরসভাকে চিঠি দিয়ে বলেছে, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট তারা জমা দেয়নি। অবিলম্বে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। শহরবাসীর অভিযোগ, গোটা দক্ষিণ দমদম এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। এক কাউন্সিলার বিল্ডিং প্ল্যানের তোয়াক্কা না করে দমদম রোডে অনুষ্ঠান বাড়ি তৈরি করেছেন। উল্টে তিনি স্টপ অর্ডার তুলে নেওয়ার জন্য পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সওয়াল পর্যন্ত করেছেন। ওই আটতলা বিল্ডিংয়ে এখনও রমরমিয়ে নির্মাণ কাজ চলেই যাচ্ছে। পুরসভা ও পুলিস কার্যত ঠুঁটো।
পুরসভার চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরী বলেন, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে যে অভিযোগ হয়েছিল, তা ভিত্তিহীন। প্রতিটি বাড়ির বিল্ডিং প্ল্যান রয়েছে। যেসব বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ, তা গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে তৈরি। সেসব রিপোর্ট জোগাড় করতে আধিকারিকদের হয়তো কিছুটা সময় লেগেছে। জেলা প্রশাসনকে আমরা কয়েকদিন আগেই রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তানোয়ার কলোনির নির্মাণ নিয়ে তিনি বলেন, কাজ চলছে বলে খবর পেয়েছি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলার বারে বারে স্টপ অর্ডার তোলার জন্য আবেদন করছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া স্টপ অর্ডার তোলা যাবে না।