সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
ব্যান্ডটি শয্যাশায়ী রোগীর হাতে পরানো হবে। হাত সামান্য নাড়লেই স্পিকারে বেজে উঠবে আর্তনাদ। স্পিকারে কী বাজবে তা আগেই রেকর্ড করা থাকবে। আবীরের নিজের হাতে থাকা ব্যান্ডটি নাড়াচ্ছিল। সামনের স্পিকারে বেজে উঠছিল, ‘আমাকে বাঁচাও’। আবীর বলে, ‘রোগীকে দেখাশোনা করার জন্য লোক থাকেন ঠিকই। কিন্তু হয়ত তিনি একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। ওইটুকু সময়ই অনেক কিছু হতে পারে। তাই স্পিকারের মাধ্যমে সজাগ রাখার চেষ্টা করেছি।’ আবীরের অভিজ্ঞতা বলে, শহরের হাসপাতালে পরিষেবা ভালো হলেও গ্রামের দিকে অনেক হাসপাতালে দেখা যায়, একজন নার্সের অধীনে অনেক রোগীর দায়িত্ব থাকে। তাই হয়ত সবাইকে সমান সময় দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু শুধু তো হাসপাতাল নয়, বাড়িতেও এমন প্রয়োজন হতে পারে। এমন একটি যন্ত্র রাখতে গেলে খরচ কেমন হবে? আবীর বলে, ‘খরচের বিষয়টি মাথার রেখেই তৈরি করেছি। মোটামুটি হাজার টাকার মধ্যে যন্ত্রটি তৈরি করা যাবে।’ কিন্তু সকলেই তো আর সবসময় বাড়িতে থাকেন না। সে ক্ষেত্রে আবীরের উদ্ভাবন ফোন কল। রোগী অসুবিধায় পড়লেই সেন্সরের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন চলে যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অপ্রয়োজনে হাত নাড়ালেও তো স্পিকার বেজে উঠতে পারে। বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র আবীর মিত্রর বক্তব্য, ‘আমি জানি, এই উদ্ভাবনে বেশ কিছু খুঁত রয়েছে। কিন্তু আমি তো শুধুমাত্র বিজ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি। এবার বিজ্ঞানীরা যদি এর উপর আরও কাজ করতে পারেন, তাহলে একে আরও উন্নত করা যাবে।’