সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাত ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল আপ হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস। লুটের উদ্দেশ্যে সেই ট্রেনে যাত্রী সেজে ওঠে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এই দলটির আরও কয়েকজন প্ল্যাটফর্মেই ঘোরাঘুরি করছিল। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠেছিলেন, মূলত তাঁদের সঙ্গেই আলাপ জমায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন যাত্রীকে তারা পানীয় জল ও খেজুর খেতে দেয়। এই খবর পেয়েই প্ল্যাটফর্মে গিয়ে পৌঁছয় আরপিএফের বিশাল বাহিনী। ট্রেন ছাড়তে তখনও মিনিট পাঁচেক বাকি। সেই সময় গোটা ট্রেন কার্যত ঘিরে ফেলে আরপিএফ। বেগতিক বুঝে তিন অভিযুক্ত ট্রেন থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করতেই তাদের ধরে ফেলে পুলিস।
রেল পুলিস জানিয়েছে, গঙ্গাসাগর ও মহাকুম্ভের জন্য হাওড়া স্টেশনে আসা যাত্রীদের খাবারে মাদক দ্রব্য মিশিয়ে তাঁদের মোবাইল, টাকা সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করার ধান্দায় ছিল এই দলটি। ধৃতদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় রেল পুলিসের আধিকারিকদের। ধৃত শম্ভু পাশোয়ানের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২২টি সিল করা মাদক ট্যাবলেটের স্ট্রিপ, একটি প্লাস্টিকের বোতলে মাদক মিশ্রিত ফলের রস, তিন প্যাকেট মাদকযুক্ত খেজুর। গোবিন্দকুমার মাহাতর কাছ থেকেও ১২টি মাদক ট্যাবলেটের প্যাকেট, এক লিটার মাদকযুক্ত পানীয় বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহম্মদ ইরফানের কাছ থেকে ২৫টি প্যাকেট মাদক ট্যাবলেট, প্রায় ১ লিটার মাদকযুক্ত পানীয় এবং ৩৫০০ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে রেল পুলিস।
ধৃতদের গ্রেপ্তার করে আরপিএফ পোস্টে নিয়ে আসা হয়। এরপর জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। রেল পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘অভিযুক্তদের সাতদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।’ রেল পুলিস জানিয়েছে, গঙ্গাসাগর এবং প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের জন্য হাওড়া স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার যাত্রীর যাতায়াত বেড়েছে। বিরাট সংখ্যক পুণ্যার্থীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হাওড়া স্টেশনে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই লুটপাটের ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে রেল পুলিসের দাবি। নিজস্ব চিত্র