সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
রবিবার বিকেল থেকেই হাওড়া ময়দান সংলগ্ন মঙ্গলাহাটে পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সোম ও মঙ্গলবার মঙ্গলাহাটের বিভিন্ন বাজার ও ফুটপাতগুলি ভিন রাজ্য, এমনকী এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড়ে গমগম করে। হরেক পোশাকের স্টক তুলতে ভিড় করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। সাধারণত অন্যান্য জেলা থেকে যে ব্যবসায়ীরা মঙ্গলাহাটে কাপড় কিনতে আসেন, তাঁদের মালপত্র বহন করার জন্য প্রচুর মুটিয়ার প্রয়োজন হয়। সেকারণেই মুটিয়ার কাজ করতে মঙ্গলাহাটে ভিড় জমান বিভিন্ন জেলার শ্রমিকরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুষ্কৃতীদের একটি দল মুটিয়া সেজে মঙ্গলাহাটের ভিড়ে শমিল হয়ে ব্যবসায়ীদের মালপত্র চুরি করছিল। গত মঙ্গলবার হাওড়া থানায় এই ধরনের চক্রের একটি অভিযোগ জমা পড়ে। এরপর তদন্তে নামে হাওড়া সিটি পুলিসের অ্যান্টি ক্রাইম শাখা।
মঙ্গলাহাটের বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রথমে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করে পুলিস। মঙ্গলাহাট সংলগ্ন এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় রাজাহার মোল্লা ও সুমিত নস্কর নামের দু’জনকে। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির বাসিন্দা। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, রায়দিঘি এলাকার ওই চক্রটি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের মালপত্র চুরির পিছনে সক্রিয়। গত কয়েক মাস ধরে তারা ধারাবাহিকভাবে চুরি করছে। এই চক্রের বাকি দুই মাথার খোঁজ পেতে গত শনিবার অ্যান্টি ক্রাইম শাখার অফিসাররা রায়দিঘিতে অভিযান চালান। সেখান থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দু’জনের নাম আজিজুল মণ্ডল ও উত্তম মিদ্দা। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে রেডিমেড পোশাক ভর্তি পাঁচটি ব্যাগ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘এই চক্রের লোকজন মূলত মঙ্গলাহাটে এসে নিজেদের মুটিয়া বলে পরিচয় দিত। সাধারণত পাইকারি ব্যবসায়ীরা মঙ্গলাহাট থেকে কেনা মালপত্র গাড়িতে তোলার জন্য এই মজুরদের কাজে লাগাতেন। সেই সুযোগে কাপড় লুট করে তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন হাটে বিক্রি করত।’ নিজস্ব চিত্র