সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
জয়নগরের গঞ্জেরবাজারে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কাগজ ও প্লাস্টিকের বাহারি ঘুড়ি ও সুতো দোকানে সেজে বসে রয়েছে। বিক্রেতারাও হাপিত্যেশ করে বসে। কিন্তু কেনার লোকজন বিশেষ নেই। বিক্রেতা বাবু দাস, রাখাল বর, বাপি হালদার বলেন, ‘আগে এ সময় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে ঘুড়ি, সুতো, লাটাই কিনতে মার্কেট ছুটতে হতো। কিনে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি। এ বছর পরিস্থিতি খুব খারাপ। কেনাকাটা একেবারে তলানিতে।’ আগে জয়নগর শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাঠে বা বাড়ির ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়ত। লড়াই দেখা যেত। এখন এ ছবি উধাও। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ‘আগে সংক্রান্তির আগে থেকেই প্রচুর ঘুড়ি উড়ত। এখন আর বাচ্চাদের আগ্রহ নেই। শুধু কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি ইচ্ছে হলে হয়ত একটু আধটু ওড়ান।’
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এই চত্বরে যেটুকু ঘুড়ি ওড়ানো হয়, তার জন্য নাইলন সুতো ব্যবহার করেন সবাই। কারণ সাদা মোম সুতো উৎপাদন হয় না। নাইলন সুতো ওড়াতে গিয়ে আঙুল কেটে যায়। ঘুড়ি কেটে মাটিতে পড়ার সময় নাকমুখ কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সে কথা মাথায় রেখে এবার নাইলন মোম সুতো বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কিন্তু কেনার চাহিদা নেই বলেই জানালেন। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, সংক্রান্তি আসতে কয়েকদিন বাকি। শেষবেলায় বিক্রি একটু বাড়তে পারে। তাহলে কিছু অন্তত লাভের মুখ দেখতে পারবেন।