শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
উদ্যানপালন আধিকারিকরা বলেছেন, জাবপোকা দমনে বুপ্রোফেজিন ও অ্যাসিফেট দুই মিলিলিটার প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। অনেক কৃষক আগে জাবপোকা দমনে শুধুমাত্র ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাতে খুব ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এখন ইমিডাক্লোপিড ও অ্যাসিফেট একসঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। স্প্রে সবসময় বিকেলের দিকে আঠা সহযোগে করতে পারলে ভালো। উত্তর ২৪ পরগনার উদ্যানপালন আধিকারিক শুভদীপ নাথ বলেছেন, জাবপোকা রোধে চটজলদি ফল পেতে অনেক কৃষক প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক পাইরিথ্রোয়েড প্রয়োগ করেন। এতে বিপত্তি ঘটে। ফেব্রুয়ারিতে যখন ফের জাবপোকার আক্রমণ ঘটে কিংবা মার্চে শুলিপোকার দাপট শুরু হয়, তখন আর কীটনাশক কাজে আসে না। আমবাগানে অ্যানথ্রাকনোসের আক্রমণে মুকুল কালো হয়ে যায়। পরে পাতা ও কচি ডাল আক্রান্ত হয়। ছত্রাক থেকে গেলে তা ছড়িয়ে পড়ে গাছের সব পাকা আম কালো হয়ে যায়। সেজন্য আম পাড়ার ১৫দিন আগে একবার কার্বেন্ডাজিম ও ম্যাঙ্কোজেব দিয়ে স্প্রে করে নিতে পারলে ভালো হয়। পাউডারি মিলডিউ বা গুঁড়ো চিতি রোগ দেখা দিলে জলে গোলা সালফার প্রয়োগ করা যেতে পারে। সালফার লিচুর মাকড়ের দমনেও সাহায্যও করে।
জাবপোকার শরীর থেকে মধুর মতো একপ্রকার আঠালো পদার্থ নিঃসৃত হয়। তা পাতার উপর জমে থাকে। সূর্যের আলো পড়লে পাতা চকচক করে। ওই পাতায় পরবর্তীতে ছত্রাক জন্ম নেয়। বৃষ্টি কিংবা শিশির পড়লে সেই পাতা ধোয়া জল আমের উপর পড়ে। তাতে আম কালো হয়ে যায়। এই সময় আমবাগানে ঢুকলে দেখা যায়, জাবপোকা উড়ে বেড়াচ্ছে। চটপট চটপট শব্দ হয়। অনেকে একে চুটকি পোকাও বলে থাকেন। জাবপোকা ও ছত্রাক রোধে গাছে যেমন কীটনাশক স্প্রে করতে হবে, তেমনই বাগানের আনাচে-কানাচে অংশেও স্প্রে করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে এক মানুষের কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতায় চুন করে দিতে হবে। এতে পরবর্তী সময়ে মিলিবাগ ও পিউপার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একইসঙ্গে শীতের মরশুমে গাছের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা হয়। চুন মানে ক্যালসিয়াম। ফলে তা থেকে গাছের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। জমিতেও চুন পড়লে ক্ষতি করে না। চুনের সঙ্গে ব্লাইটক্স মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে গাছের কাণ্ডে কোনও ক্ষত বা ফাটলের মধ্যে যদি গুঁড়ি ছিদ্রকারী পোকা থেকে থাকে, তা হলে নিয়ন্ত্রণ হবে।