সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জোফ্রা আর্চারের ১৪৮ কিলোমিটার বেগের বাউন্সার স্টিভ স্মিথের মাথার পিছন দিকে আছড়ে পড়ে। কানের ঠিক নিচে। তৎক্ষনাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অজি ব্যাটসম্যানটি। স্মিথ যদি নেকগার্ড দেওয়া হেলমেট পরে খেলতেন তাহলে এই চোট তাঁর লাগত না। অরক্ষিত জায়গাতে এসেই বলটি আঘাত হানে। এই ঘটনার পর হেলমেটে নেকগার্ড লাগানো বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানিয়ে জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমি স্মিথের আত্মজীবনী পড়ে জেনেছি যে, স্টেমগার্ড লাগিয়ে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না সে। এরকম অনেক কিছুই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কথা সবাই বলে। কিন্তু আমার মনে হয় স্মিথের এই ঘটনার পর নেকগার্ড দেওয়া হেলমেটের প্রসঙ্গ উঠে আসবে। ফিল হিউজের ট্যাজেডি কেউ ভোলেনি। স্মিথও বিষয়টা নিয়ে আবারও ভাববে। এখনও এই হেলমেট ব্যবহার করাটা প্লেয়ারদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু এরকম হতেই পারে যে ভবিষ্যতে এই হেলমেট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। তাতে আমি অবাক হব না, বরং খুশিই হব।’ উল্লেখ্য, স্টিভ স্মিথের চোট পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ঘটনা উসকে দিয়েছে পাঁচ বছর আগে ফিল হিউজের মর্মান্তিক মৃত্যুর স্মৃতি। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে এরকমই এক ঘাতক বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে জীবনের বাইশ গজ ছেড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানটি। হিউজের মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক ক্রিকেটার নেকগার্ড দেওয়া হেলমেট ব্যবহার শুরু করেন। যেখানে ঘাড়ের কাছে গার্ড দেওয়া থাকে। পোশাকি ভাষায় যাকে স্টেমগার্ড বলা হয়।