কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার আশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুরসভার তরফে দু’দিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছিল। সেইমতো আমরা মঙ্গল ও বুধবার গোটা বাঁকুড়া শহর এবং জেলার গ্রামীণ এলাকার একাংশে জল দিইনি। বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। বাঁকড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেনমজুমদার বলেন, লক্ষ্যাতোড়া মহাশ্মশান সংলগ্ন এলাকায় পুরনো পাইপ লাইনের সঙ্গে নতুন লাইনের সংযোগের কাজ চলছে। সেকারণে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে জল সরবরাহ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছিল। বিষয়টি মাইকিং করে শহরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শহরের বাসিন্দারা পুরসভার বিকল্প লাইনে জল পাচ্ছেন। ফলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
শহরের বাসিন্দা কবিতা গোস্বামী, ঝুমা রজক বলেন, সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে আমরা বড়জোড়া প্রকল্পের আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত জল পেয়ে থাকি। এদিন দুপুর পর্যন্ত হাপিত্যেশ করে অপেক্ষা করেও জল পাইনি। পরে জল সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি জানতে পারি। শহরের সর্বত্র মাইকিংও করা হয়নি। পুরসভার সরবরাহ করা জলের মান ভালো নয়। বাধ্য হয়ে অনেককে অপরিস্রুত জল পান করতে হয়েছে। অনেকে জল কিনে খেতে বাধ্য হয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় জল সরবরাহ করার জন্য প্রতিদিন দুর্গাপুর ব্যারেজ তথা বড়জোড়া প্রকল্প এলাকায় ১৬ ঘণ্টা পাম্প চালাতে হয়। সেখান থেকে দৈনিক ৬৫০লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা হয়। তারমধ্যে শুধুমাত্র বাঁকুড়া শহরের জন্য ১২০লক্ষ লিটার জল পাঠানো হয়। ওই প্রকল্পের পানীয় জলের ভরসায় শহর এবং লাগোয়া বাঁকুড়া-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা থাকেন। ফলে পিএইচই জল না দিলে বাঁকুড়াবাসীকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।