কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক বলেন, সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে তৈরি করা খাটাল অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিসকে তা দেখার জন্য বলা হয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়। দু’দিন আগে তাঁকে চূড়ান্ত নোটিস ধরানো হয়। খাটাল ভাঙার পর হাসপাতালের ওই অংশে পাঁচিল নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল না থাকায় বহু জমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। তবে এক বছর আগে পাঁচিল নির্মাণের জন্য ১কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়। নির্মাণকাজও শুরু হয়। তারপর তিনদিক নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলেও বাসস্ট্যান্ডের দিকে আজও তা শুরু হয়নি। জবরদখলকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিস ধরানো হয়। এনিয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতালে যাওয়ার মূল রাস্তার ধারে অবৈধভাবে একটি খাটাল থাকায় বিতর্ক শুরু হয়। দুর্গন্ধ ছড়ানোয় সমালোচনার মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাটাল তুলে নেওয়ার জন্য মালিককে একাধিকবার নোটিস দেয়। কিন্তু তারপরও অভিযুক্ত কোনও কর্ণপাত করেননি। সম্প্রতি তাঁকে চুড়ান্ত নোটিস ধরানো হয়। তাকেও তিনি পাত্তা দেননি। এরপরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মঙ্গলবার সকালে পুলিস ওই ব্যক্তিকে অবিলম্বে খাটাল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। তারপরেই অবশ্য অভিযুক্ত ব্যক্তি খাটাল ভাঙতে শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে ঢোকার মুখে গোরু-বাছুর শুয়ে থাকে। নর্দমা ও গোবরের গন্ধে নাকে রুমাল ঢাকতে হয়। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এতদিন কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে এদিন খাটাল ভাঙা হচ্ছে।