ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কৃষ্ণনগর শহরের কায়স্থপাড়া দুর্গোৎসব কমিটি এবার প্রথম পুজো করছে। এখানকার পুজোর সমস্ত কিছুর আয়োজনে রয়েছেন মহিলারা। ওই পাড়ায় ২০০ থেকে ২৫০ পরিবার রয়েছে। এর আগে এঁরা আশপাশের পুজোগুলিতে অংশগ্রহণ করতেন। তারপর নিজেরা পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ইচ্ছা থেকেই এবছর পুজো শুরু করতে চলেছেন পাড়ার মহিলারা। তাঁরা কেউ চাকরি করেন, কেউ আবার গৃহবধূ। তবে পুজোর উদ্যোগ নিয়ে সকলেই সমানভাবে উৎসাহিত। ইতিমধ্যেই বাঁশের প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। থিম নয়, এখানে সকলে মিলে আনন্দ করাটাই পুজো শুরুর মূল কারণ। প্রায় ২লক্ষ টাকা পুজোর বাজেট। বিকেলে মহিলারা বেরিয়ে পড়ছেন চাঁদা তুলতে। পুজো কমিটির পক্ষে সন্ধ্যা কুণ্ডু, মৌমিতা রায়, মহুয়া দাস বলেন, সবাই মিলে আনন্দ করার জন্যই পুজোটা আমরা শুরু করলাম। আমরা মহিলারাই সমস্ত কিছু করছি। পুজোর দিনগুলিতে আনন্দ করা, একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করাই আমাদের লক্ষ্য। পুজোর দিনগুলি গোটা পাড়াটা একটা যৌথ পরিবার হয়ে উঠবে।
জোড়াকুঠি সর্বজনীন পুজো কমিটি ১৯৮৬ সাল থেকেই পুজো করছে। এখানে গত দু’বছর হল এই পুজোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এলাকার মহিলারা। কার্যত চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুর্গাপুজো করছেন মহিলারা। তারপর মহিলারা নির্বিঘ্নে দু’ বছর ধরে পুজো করছেন। পুজো কমিটির পক্ষে মৌসুমি হালদার, চিত্রা বিশ্বাস, প্রিয়া রায় বলেন, পুজোর যাবতীয় কাজ আমরাই করি। এখানে থিম নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। পুজোর দিনগুলিতে আনন্দ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সকলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এবার নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করারও আমাদের ইচ্ছা রয়েছে।
চৌধুরীপাড়া বারোয়ারির পুজোও মহিলা পরিচালিত। ১৯৫১ সাল থেকে পুজো শুরু হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ থেকে নতুন প্রজন্মের সকলেরই জগদ্ধাত্রী পুজো করার দিকে মন চলে যায়। দুর্গাপুজো প্রায় উঠে যাওয়ার জোগাড় হয়। তখনই মহিলারা এগিয়ে এসে পুজোর হাল ধরেন। পুজো কমিটির পক্ষে মণিকা দে সরকার বলেন, সব মহিলারা মিলে পুজো করি, এটাই আনন্দের। পুজোর প্রস্ততি শুরু হয়েছে।
ধোপাপাড়া বারোয়ারির পুজো এবার পাঁচ বছরে পড়ল। এটিও শহরের একটি মহিলা পরিচালিত পুজো। পাড়ার সমস্ত মহিলাদের এই পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। পুজো কমিটির পক্ষে বুলবুল সরকার, চুমকি চৌধুরী বলেন, আমরা তো আর কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। পুজোতেই বা থাকি কেন। সেই জায়গা থেকেই আমাদের পুজো শুরু। এখন খুব ভালোভাবেই সব এগোচ্ছে। খাওয়া দাওয়া, আনন্দ আড্ডার মধ্যে দিয়ে পুজোর দিনগুলি বেশ কেটে যায়।
কয়েকটি পুজোয় সহায়তা করেন পুরুষরা। তবে মহিলা পরিচালিত এইসব পুজোগুলির বাজেট অনেকটাই কম। বেশকিছু পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে অনুদান পায়। সে কারণে তাঁদের উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বাড়েছে। বাড়ছে পুজোগুলির আড়ম্বরও।