ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধায় সামিম ও তাঁর এক বন্ধু বাইকে করে বাজারগাঁও থেকে হারভাঙার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় হারভাঙার দিক থেকে একটি বাইকে মহম্মদ সাদেক ও মহম্মদ হায়দর ও আরও একজন আসছিল। এরা তিনজন একটি বাইকে করে হারভাঙা থেকে বাজারগাঁও ফিরছিল। বাজারগাঁও থেকে প্রায় এক কিমি দূরে ধুমপোখর এলাকায় দুইটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সামিমেরর দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকিদের করণদিঘি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সাদেক ও হায়দারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের রায়গঞ্জে রেফার করা হয়। কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাদের শিলিগুড়িতে নিয়ে যান।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আবদুল মাজেদ বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সমিম আখতার আমার মামাতো ভাই হয়। বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা, মা ও তিনবোন আছে। রোজগার করার মতো সে একাই ছিল। এছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় এলাকার আরও দুই জনের মৃত্য হয়েছে। গোটা এলাকায় শোকের পরিবেশ। স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভবেন ঘোষ বলেন, মৃতদের তিনটি পরিবারই আমাদের দলের সমর্থক। আমরা বুধবার প্রত্যেকের বাড়িতেই গিয়েছিলাম। পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। তাদের বিমার টাকা পেতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা সহযোগিতা করব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি বাইকেরই গতি বেশি ছিল। হঠাৎ মুখোমুখি হওয়াতে চালকেরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরেই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। সামিম পেশায় ট্রাক্টরের চালক ছিলেন। দিনভর বিভিন্ন মানুষের জমিতে ট্রাক্টর চালান। অনেক জায়গায় টাকা বাকি থাকে। প্রায়শই সন্ধার দিকে তিনি টাকা তুলতে বের হতেন। দুর্ঘটনার দিনও তিনি বাকির টাকা তুলতে বের হয়েছিলেন। সাদেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বছর খানেক আগে পড়াশুনা ছেড়ে তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে বাড়িতে তাঁর বাবার সঙ্গে জমিতে কাজ করতেন। কিছু দিন পরে আবারও তাঁর বাইরে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।