ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
নবদ্বীপে গঙ্গা ও জলঙ্গি নদী দিয়ে মোট তিনটি রুটে ছ’টি জেটি দিয়ে ফেরি চলাচল করে। নবদ্বীপ ঘাটে দু’টি জেটি থেকে নবদ্বীপ-মায়াপুর এবং নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ রুটে নৌকা চলাচল করে। অন্যদিকে, মায়াপুরের হুলোরঘাট থেকে জলঙ্গি নদীপথে মায়াপুর-স্বরূপগঞ্জ রুটে নৌকা চলাচল করে। বছরের অন্যান্য সময়ে ভোর সাড়ে পাঁচটায় খেয়াঘাট থেকে ভুটভুটি নৌকা চলাচল শুরু হয়। নবদ্বীপ-মায়াপুর রুটে নৌকা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। অন্যদিকে, নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ রুটে নৌকা রাত ১১টা পর্যন্ত চলাচল করে। পর্যটক ছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী ঘাটগুলি দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, রাজমিস্ত্রি, মজুর সবাই আছেন। রাসের দিনগুলিতে ২৪ ঘণ্টাই ভুটভুটি ও লঞ্চে পারাপার চলে।
নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির সভাপতি অলোক মণ্ডল ও সম্পাদক গোপাল দাস বলেন, নবদ্বীপ-মায়াপুর রুটে যাতায়াত করে মোট চারটি ভুটভুটি নৌকা। দু’টি স্ট্যান্ডবাই থাকে। কোনও ভুটভুটির পরিবহণ ক্ষমতা ৩০০ জন, কোনটির ২৫০ জন। নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ রুটে তিনটি ভুটভুটি নৌকা চলাচল করে। এখানেও দু’টি স্ট্যান্ডবাই নৌকা থাকে। অন্যদিকে, মায়াপুরের হুলোরঘাট থেকে জলঙ্গি নদীপথে মায়াপুর-স্বরূপগঞ্জ রুটে দু’টি নৌকা চলাচল করে। রাস উৎসবে যাত্রী পারাপারের কথা মাথায় রেখে নবদ্বীপ ফেরিঘাটে সংস্কার চলছে। ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। ভুটভুটি নৌকা ও লঞ্চে ওঠানামার জন্য পৃথকভাবে মাটি কেটে, বাঁশের ব্যারিকেড করে পারাপারের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। যেকোনও দুর্ঘটনা এড়াতে থাকবে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও স্পিডবোট। তিনটি ঘাট মিলিয়ে চলবে ১২টি ভুটভুটি নৌকা। নবদ্বীপ-মায়াপুরে দু’টি লঞ্চ চলাচল বেশ কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে। যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা ১০০ জন। রাস উপলক্ষে বহরমপুর থেকে ভাড়া করে আনা হচ্ছে ২০০ যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি লঞ্চ। এবার স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দপ্তর থেকে আসছে ২০০ যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি লঞ্চ।
নবদ্বীপ বড়ালঘাট-স্বরূপগঞ্জ ঘাট ও জলঙ্গি নদীতে মায়াপুর হুলোরঘাট-স্বরূপগঞ্জ ঘাটে ভুটভুটি নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া দু’টাকা, নবদ্বীপ বড়ালঘাট-মায়াপুরের ভুটভুটি নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া তিন টাকা এবং লঞ্চে ভাড়া সাত টাকা। উৎসব উপলক্ষে ভুটভুটি নৌকা ও লঞ্চে কোনওরকম ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।
কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক সৌমেন দত্ত বলেন, নদীয়া জেলা পরিষদের তরফে ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘাটের রাস্তাগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাসের দিনগুলিতে ২৪ ঘণ্টা কর্তব্যরত থাকবে। থাকবে দু’টি স্পিডবোট। যাত্রী নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন সদা সচেষ্ট।
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, ঘাট ও ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম রাখা হবে। নবদ্বীপের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, যাত্রী নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোলকুমার ঘোষ বলেন, নবদ্বীপ বড়ালঘাট, স্বরূপগঞ্জঘাট, মায়াপুরঘাট, হুলোরঘাট সহ সর্বত্র পুলিসি নিরাপত্তা থাকবে। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগত রাসযাত্রীদের যাতে কোনওরকম বিপদের সম্মুখীন না হতে হয় তারজন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।