ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
খড়্গপুর সদরে বিজেপি প্রার্থীর জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন দলের নেতারা। কারণ, ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের জন্য পদ্ম চিহ্নে জয়ী হয়ে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখন এ রাজ্যে বিজেপি ধারে ও ভারে তৃণমূলের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার জায়গাতেই ছিল না। তার উপর বিধানসভার সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য তথা খড়্গপুরের অত্যন্ত জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। গত তিন বছরে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে সঙ্গে দিলীপবাবুরও প্রভাব বেড়েছে হু হু করে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে বিরাট ব্যবধানে জিতে ফের ইতিহাস তৈরি করেছিলেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে দিলীপবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রেমচাঁদকে নয়, মানুষ ভোট দেবে খড়্গপুরের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে, গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের আটটির মধ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই পদ্মফুল ফুটেছিল। সেদিক থেকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অধীন কালিয়াগঞ্জ বিজেপির উর্বর জমি। তার উপর আসনটি এসসি সংরক্ষিত হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবে গেরুয়া শিবির। কারণ, রাজ্যের ওই অংশে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। যা পিছিয়ে থাকা এলাকার মানুষের মধ্যে বিজেপির পক্ষে ইতিবাচক অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করছে দল।
অন্যদিকে, রায়গঞ্জের এমপি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী আরও একটা বড় ফ্যাক্টর কলিয়াগঞ্জের ক্ষেত্রে। কেননা, মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য গত কয়েকদিন ধরেই এই উপনির্বাচনের জন্য এলাকায় পড়ে রয়েছেন। চষে বেড়াচ্ছেন সমস্ত জায়গা। মাত্র ছ’মাস আগে মহম্মদ সেলিম ও দীপা দাশমুন্সির মতো হেভিওয়েটদের হারিয়ে এমপি ভোটে জিতে এসেছিলেন দেবশ্রীদেবী। তাঁর নাছোড় মানসিকতাও এক্ষেত্রে কমলচন্দ্র সরকারকে এগিয়ে রাখছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, করিমপুরে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার প্রার্থী হিসেবে বাকি দু’জনের চেয়ে বেশি পরিচিত হওয়ায় সামান্য হলেও আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি শিবির। আসন্ন উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ নভেম্বর তিনটি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হবেন। তবে এটা নিশ্চিত বলতে পারি, খড়্গপুর সদর এবং কালিয়াগঞ্জে পদ্ম ফুটবেই। করিমপুরেও আমরা লড়াই দেব।