ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ৪০ বছর আগে গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যৌথ উদ্যোগে মোতিয়া নদীর উপর কাঠ দিয়ে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা সেতুটি করা হয়েছিল। তারপর বহুবছর কেটে গেলেও সেটি সংস্কারের কোনও উদ্যোগ প্রশাসন নেয়নি। বর্তমানে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেতুর মাঝের কিছু কাঠ পচে ভেঙে গিয়েছে। ফলে ফাঁকা ওই অংশ দিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়া থেকে অসুস্থ রোগীদের ওই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আফসার আলি, সতীন মণ্ডল, বীরেন সিংহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেতু সংস্কারের জন্য বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যার সমাধানে কোনও পক্ষই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি।
বিধাননগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের টুলটুলি সরকার বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটি নতুন করে বানানোর মতো ফান্ড আমাদের হাতে নেই। এনিয়ে আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং এসজেডিএ’কে চিঠি পাঠিয়েছি। মাস তিনেক আগে এসজেডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা সেতুটি দেখে যান। শুনেছি, সেতুর জন্য ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার বলেন, আমি কিছুদিন হল ব্লকে এসেছি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলব। কীভাবে সেতুটির কাজ করা যায় তা দেখব।
এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনিবাহী আধিকারিক এস পুনমবালম বলেন, মোতিয়া নদীর উপর সেতুর নির্মাণের বিষয়টি বোর্ডে অনুমোদন হয়েছে কি না তা দেখতে হবে।
নদীর একদিকে রয়েছে আমবাড়ি, কাজিগছ, বুদারিগছ, ভাতিগছ, ভূমাবস্তি, বুদারিগাঁও, জগন্নাথপুর গ্রাম। মূলত এদিককারই হাজার পাঁচেক মানুষের রোজদিন সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার লোকেরা মূলত কৃষিকাজ করেন। সেখানে আনারস ও চায়ের বেশ কয়েকটি বাগান আছে। কৃষিজ পণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার এটি একমাত্র পথ। কাঠের সেতু দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলতে পারে না। ফলে গ্রামবাসীদের কৃষিজ পণ্য বস্তায় ভরে পিঠে করে সেতুর এপারে নিয়ে আসতে হয়। ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে খুব কষ্ট করে গ্রামবাসীদের সাইকেল, মোটর বাইক পারাপার হতে হয়। প্রসূতি কিংবা রোগীদের বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হলে এই পথ দিয়েই যেতে হয়। সেতুর পাশেই রয়েছে আমবাড়ি-কাজিগছ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ভাঙা সেতু দিয়ে পড়ুয়ারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে।