ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে লকেটের কর্মসূচি আছে। জলপাইগুড়ির কর্মসূচি শেষ করে রাতে তিনি আলিপুরদুয়ারে থাকবেন। কাল, শুক্রবার দলের ১২ নম্বর মণ্ডলের অধীন আলিপুরদুয়ার জেলা শহর সংলগ্ন অসম ১ নম্বর গেটের পাশে রেলের মাঠে তিনি দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন।
শুক্রবার দুপুর ২টোয় জনসভা শেষে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দলের জেলা নেতৃত্ব নিয়ে যাবেন কালচিনি ব্লকের সদ্য বন্ধ হওয়া কালচিনি চা বাগানে। সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনবেন তিনি। বিশেষ করে বন্ধ বাগানের মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি একান্তে কথা বলবেন।
বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের রাজভবনে নিয়ে যাওয়ার আগে বিজেপি নেতৃত্ব বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের নামের তালিকা সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জেলায় আটটি চা বাগান বন্ধ রয়েছে।
ওই বন্ধ বাগান হল কালচিনি, মধু, তুরতুরি, তোর্সা, বান্দাপানি, ঢেকলাপাড়া, রায়মাটাং ও বীরপাড়া। ওই বন্ধ বাগানগুলি পড়েছে কালচিনি, মাদারিহাট ও কুমারগ্রাম ব্লকের মধ্যে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, শুক্রবার বিকেলে সেজন্যই দলের এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় বন্ধ কালচিনি চা বাগানে যাবেন। বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের রাজভবনে নিয়ে যাওয়া বা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধ বাগানে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্য সরকার বন্ধ বাগান খুলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, এনআরসি নিয়ে গোটা জেলার মানুষ তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন। তাই এনআরসি আতঙ্ক থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে ও বন্ধ বাগান খোলার ব্যর্থতা চাপা দিতে বিজেপি ফের বন্ধ বাগান নিয়ে নাটক শুরু করেছে। কিন্তু এই নাটকে কোনও লাভ হবে না বিজেপির।