ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। জেলায় জেলায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে জোর কদমে। তারই মাঝে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা একাধিক পুরসভার প্রতিনিধিদের ‘মোহভঙ্গের’ পালা শুরু হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরে ‘ঘরওয়াপসি’র জেরে একের পর এক পুরসভা হাতছাড়া হচ্ছে। শাসকদলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের পর ফের ভিন্ন সুরে গাইতে শুরু করেছেন। সবমিলিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, ভিনদল থেকে আসা কর্মী-নেতারা যতই প্রভাবশালী হোন, তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে একাধিক জেলা রয়েছে যেখানে তৃণমূল কিংবা সিপিএম থেকে আসা নেতারা আমাদের পুরনো নেতৃত্বের থেকেও কার্যকর। তাঁদের জেলা সভাপতি পদে বসিয়ে দেওয়ার পর টাকা কিংবা অন্য কোনও লোভ দেখিয়ে তৃণমূল তুলে নিয়ে গেলে দলেরই মুখ পুড়বে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনুগত পুরনো সৈনিকদের সামনের সারিতে রাখা হবে।
রাজ্য নেতৃত্বের এহেন মনোভাব জেনে বেজায় চটেছেন বিজেপি নব্যপন্থীরা। তাঁদের কথায়, রাজনীতিতে নতুন-পুরনো নেই। কার্যকারিতায়, জনপ্রিয়তায়, প্রভাবে যে এগিয়ে সেই দলের নেতৃত্ব দেওয়ার দাবিদার। উদাহরণ দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে চলে আসেন। তাঁদের দাবি, যুব কংগ্রেসে থাকার সময় সুব্রত-সোমেন-সুদীপরাই ছিলেন মমতার নেতা। আর এখন তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে কাজ করছেন। যার জবাবে বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা বলেন, তথাকথিত ডানপন্থী দলের রাজনৈতিক ভাবধারার সঙ্গে বিজেপিকে গোলালে চলবে না। গোটা দেশেই বিজেপি একটি অভিন্ন নীতি নিয়ে চলে। যদিও বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে তার পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হয়। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উল্লেখ্য, মুখে সাংগঠনিক নির্বাচন বলা হলেও সহমতের ভিত্তিতে দলের সর্বস্তরে নেতৃত্ব চূড়ান্ত হবে মূলত সিলেকশন কিংবা বাছাইয়ের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বুথ এবং মণ্ডল স্তরে নেতৃত্ব বাছাইয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে দলের কর্মী-নেতারা নিজেদের মধ্যেই ছোট-বড় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি দিল্লি থেকে এ নিয়ে জরুরি ফরমান এসেছে, সহমতের ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির নির্বাচন শেষ করতে হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১১০০ মণ্ডল রয়েছে। যার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি বাছাই করার নির্দেশ এসেছে। এখন প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য এবং জেলা অফিসগুলিতে সম্ভাব্য মণ্ডল সভাপতিদের নামে গুচ্ছ গুচ্ছ নালিশ জমা করছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। তবে সূত্রের দাবি, যাঁদের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে, মণ্ডল সভাপতি হিসেবে তাঁদের দায়িত্বভার গ্রহণ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।