ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ধুমপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, রোজ রোজ নদীতে লরি, ডাম্পার নামিয়ে বালি, বোল্ডার তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে গত কয়েক বছরে নদী তার গতিপথ আনেকটাই বদলেছে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা গ্রাম একসময়ে ভেসে যাবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টিতে গোটি বিষয়টি এর আগে এনেছিলাম। ফের একবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। এরপরেও সমস্যা না মিটলে আন্দোলনের নামতে বাধ্য হব।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনসুর আলি বলেন, ডায়না নদীটি পাহাড়ি জলে পুষ্ট। বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে নদীটি এসেছে। জঙ্গলে লোকজনের যাতায়াত কম। সেই সুজোগে সেখানে বেআইনিভাবে লরি, ডাম্পার নিয়ে গিয়ে বালি, বোল্ডার তুলে আনা হচ্ছে। এতে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে ক্রমশই গ্রামের দিকে চলে আসছে। এবার বর্ষায় গ্রামের কিছু এলাকা ভেসে যায়। এমনটা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে গোটা গ্রাম ভেসে যাবে। লিখিতভাবে প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রাম বাঁচাতে আমরা বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলনে নামব।
ধূপগুড়ির বিএলআরও প্রসেনজিৎ রায় বলেন, নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে। আমরা ওই এলাকায় টিম পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
নাগরাকাটা ব্লকের মধ্যে ২ নম্বর আংরাভাসা অঞ্চলটি সব চাইতে বড়। এখানেই উত্তর ও দক্ষিণ ধুমপাড়াও গ্রাম রয়েছে। ওই দুই গ্রামের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ি ডায়না নদী বয়ে গিয়েছে। দুই গ্রামে প্রায় ১০০০ পরিবার বসবাস করে। এরা সকলেই কৃষিকাজ করে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা হয়। চাষের জমির পাশেই রয়েছে ডায়না নদী। সারাবছর অল্প জল থাকলেও বর্ষার সময়ে নদী ফুলেফেঁপে ওঠে। এবার বর্ষার সময়ে গ্রামে নদীর জল ঢুকে গিয়েছিল। নদী থেকে বালি, পাথর তোলার কারণেই নদী তার গতিপথ ধীরে ধরে পরিবর্তন করছে। আর এতেই গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।