ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুমারগ্রাম ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল আটটি, বিজেপি তিনটি এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে তৃণমূল দু’টি ও বিজেপি একটি আসন পায়। পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৭টি ও তৃণমূল ১৫টি আসন পেয়েছে। ভোটের পরে অবশ্য বিজেপির সাতজন সদস্যকে দলে টেনে পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেয় শাসক দল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা ধাক্কা খাওয়ার পর লোকসভা ভোটে অবশ্য বড় ধাক্কা খায় শাসক দল। লোকসভা ভোটে কুমারগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির থেকে ২৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে। লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের দরুন এই আন্তঃরাজ্য সীমান্ত ব্লকে তৃণমূলের সাংগঠনিক রেখাচিত্র হুহু করে নামতে থাকে।
কিন্তু এনআরসি আতঙ্কে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের পালে ফের হাওয়া উঠেছে এই ব্লকে। এনআরসির জেরে কুমারগ্রামে দলের পালের হাওয়া যে অনেকটাই থিতিয়ে এসেছে একথা কার্যত বিজেপি নেতৃত্বও মেনে নিয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে তৃণমূল নেতৃত্ব দলবদলের কৌশলে বদল এনেছে।
দলের পার্টি অফিসে ঠান্ডা ঘরে বসে মিনারেল ওয়াটার খেয়ে আর দল বদলের অনুষ্ঠান নয়। টিম পিকে’র নির্দেশে প্রচারের আলো থেকে দূরে বসে অত্যন্ত গোপনে একেবারে বুথ ধরে ধরে দলের ঘরছাড়াদের যেমন ঘরে ফেরানো হচ্ছে, তেমনি বিজেপি সমর্থকদেরও এনআরসির জুজু দেখিয়ে দলে টানার কাজ চলছে।
তৃণমূলের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই কৌশল কাজেও লাগছে। দুর্গাপুজোর পর থেকেই এই কৌশলে তৃণমূল বুথ স্তরে ঘর ছাড়াদের ও বিজেপি সমর্থকদের দলে টানছে। ইতিমধ্যেই খোঁয়ারডাঙা-১, ২, ভলকা-১ ও ২ অঞ্চলে বুথ স্তরে ৩০০ জন ঘর ছাড়াকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। চারটি অঞ্চলে দলে টানা হয়েছে ২৫০টি বিজেপি সমর্থক পরিবারকে। বুথে বুথে বাড়িতে বসে এই দলবদল করার কাজ চলছে।
তৃণমূলের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় বলেন, আগে দলের কাজ কেমন করে চলছিল জানি না। কিন্তু আমি ব্লক সভাপতি হওয়ার পর দলের মধ্যে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার নীতি বন্ধ করা হয়েছে। এবার থেকে দলের যাবতীয় কাজের সমালোচনা ও সাংগঠনিক কাজ করতে হবে বুথ কমিটির মধ্যেই। বাইরে দলের কাজের কোনও সমালোচনা করলে দল থেকে তাড়ানো হবে সেই নেতাকে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই জন্যই ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে ও অন্য দলের সমর্থকদের দলে টানার কাজ বুথে বুথে অত্যন্ত গোপনে চলছে। এনআরসির জেরে ও তৃণমূলের এই কৌশলে শাসক দলের পালে যে ফের হাওয়া উঠছে একথা মানছে বিজেপি নেতৃত্বও।
বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার সংযোজক প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, এটা ঠিক যে এনআরসির জেরে কুমারগ্রামে দল কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে দলের সংকল্প যাত্রার পর কুমারগ্রামে দল ফের চাঙা হয়ে উঠছে।