ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বাংলাদেশে বাড়ছে ইয়াবার চাহিদা। নিষিদ্ধ এই ট্যাবলেট এক একটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে। যে কারণে সম্প্রতি এর চোরাচালান বেড়েছে ব্যাপক হারে। বেশিরভাগটাই যাচ্ছে এরাজ্য দিয়ে। ইয়াবা ট্যাবলেট আসছে মায়ানমার থেকে। উত্তর পূর্ব ভারতে ঢোকার পর তা পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। ট্রানজিট রুট হিসেবে এই জায়গাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া খুব সহজ, তাই এখান দিয়েই তা পাচার হচ্ছে সেদেশে। যে কারণে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চলছে ধরপাকড়ও।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ছাড়াও এসটিএফও এই নিয়ে নিয়মিত খবরাখবর চালিয়ে যাচ্ছে। কলকাতা ট্রানজিট রুট হওয়ায় তাদের চিন্তা বেড়েছে। কয়েকদিন আগে অফিসারদের কাছে খবর আসে, আনন্দপুর এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট আনা হয়েছে। গাড়ি করে তা নিয়ে যাওয়া হবে সীমান্তের ওপারে। উত্তর ২৪ পরগনার তিন বাসিন্দার তা নিয়ে যাওয়ার কথা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ির নম্বর জোগাড় করা হয়। যারা তা নিয়ে যাবে, তাদের পরিচয়ও জানতে পারেন অফিসাররা। জানা যায়, বুধবার তা নিয়ে যাওয়া হবে। সেইমতো ওই এলাকায় হানা দেন এসটিএফের অফিসাররা। আটক করা হয় একটি গাড়িকে। দেখা যায়, তাতে তিন ব্যক্তি রয়েছে। গাড়ির ভিতরে ঢুকে পরীক্ষার পর কিছু না মেলায় তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ হয়, গাড়ির ড্যাশবোর্ডে লুকনো থাকতে পারে মাদক। সেটি ভাঙতেই দেখা যায়, সেখানে সাজানো রয়েছে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট। সব মিলিয়ে পাওয়া যায় এক লক্ষ পিস মাদক ট্যাবলেট। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য এক কোটি টাকা বলে দাবি এসটিএফের।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জেনেছে, তারা অনেকদিন ধরেই এই মাদকের ব্যবসা চালাচ্ছে। সীমান্ত অবধি তারা তা পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে বাংলাদেশের কারবারিরা তা নিয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যে তারাও এই মাদক নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে। সীমান্তের ওপারের একাধিক মাদক কারবারির সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। মোবাইলে অর্ডার আসে সেখান থেকে। সেই মতো মাল সরবরাহ করা হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া ট্যাবলেট মায়ানমার থেকে প্রথমে মিজোরামে আসে। সেখান থেকে তা আনা হয় কলকাতায়। মহানগরীর একাধিক জায়গায় তা মজুত করে রাখা হচ্ছে। সীমান্তে যারা মাদক কারবারে জড়িত রয়েছে, তারা এখান থেকে তা নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় কোথায় এর মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে এই কারবারে জড়িত কয়েকজনের নামও তাদের কাছ থেকে জেনেছেন অফিসাররা।