ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
কামারহাটির রোজানবাগান এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির তদন্তে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশনের কর্তাদের। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজানবাগান এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি করেই মহম্মদ রফিক মাসিক আয় করছিল ২৫ হাজার টাকার বেশি। সে বিদ্যুৎ চুরি করে তা এলাকার প্রায় ৮০টি বাড়িতে সাপ্লাই দিত। প্রতি বাড়ি থেকে মাসিক ৩০০ বা তার বেশি টাকা নিত। সে ‘গ্রাহক’দের বোঝাত, সিইএসসি থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিলে বেশি বিল আসবে। মোটা টাকার বিল মেটাতে পারবে না। এলাকার বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়েই এত দিন ব্যবসা ফেঁদেছিল মহম্মদ রফিক। কোনও লগ্নি না করেই মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করে যাচ্ছিল সে। সিইএসসির কর্মীরা মাঝে মাঝে ওই এলাকায় হানা দিয়ে তার কেটে দিয়ে আসতেন। কিন্তু বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে পারেননি।
গত অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ চুরির মূল পাণ্ডা মহম্মদ রফিকের নামে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিইএসসি। বুধবার রাতে তাকে বেলঘরিয়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, সাগর দত্ত ঘাট এলাকা থেকে খাবিরুদ্দিন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে অবশ্য বিদ্যুৎ চুরির মূল পাণ্ডা নয়। সে কানেকশন নিয়েছিল অন্য এক বিদ্যুৎ চুরির মূল পাণ্ডার কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সিইএসসি সূত্রের খবর, সাগর দত্ত ঘাট এলাকাতেও রফিকের মত এক বিদ্যুৎ চুরির মূল পাণ্ডা রয়েছে। সেও বিদ্যুৎ চুরি করে এলাকার ৭০-৮০টি বাড়িতে সাপ্লাই দিচ্ছে। সে মাসে আয় করছে হাজার হাজার টাকা। তার নামেও থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে সিইএসসি আধিকারিকরা জানান। মাস দুয়েক আগে কামারহাটির ছোট ছাইমাঠ এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি রুখতে গিয়ে সিইএসসি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিদ্যুতের একটি পিলার বক্স ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেখানেও বিদ্যুৎ চুরির এক মূল পাণ্ডা ছিল। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সিইএসসি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুৎ চুরির কয়েকজন মূল পাণ্ডা রয়েছে। যারা ৭০- ৮০ টি বাড়ি ভাগ ভাগ করে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিচ্ছে। মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য এলাকায় প্রচার চলছে।