ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলার বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন। অর্থাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। এই পুরসভায় মোট আসন ৩৫টি। একজন কাউন্সিলার মারা গিয়েছেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলার হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। একজন কাউন্সিলার জেলে রয়েছেন। ৩২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে একজন সিপিএমের। এই ৩১ জনের মধ্যে পাঁচজন বাদ দিয়ে সকলেই লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন ঘর ওয়াপসি করলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, আরও পাঁচজন কাউন্সিলার পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরাও যে কোনও দিন বিজেপির পতাকা ছেড়ে পুরনো দলে ফিরবেন।
পাঁচ জন কাউন্সিলার না এলেও এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষে ১৭ জন কাউন্সিলার। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। আগামী ৬ ডিসেম্বর তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। গত মে মাসে অনাস্থার ভোটাভুটিতে চেয়ারম্যান হন অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং। তাই পুর আইন অনুযায়ী ছয় মাস পর অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তৃণমূল।
ভাটপাড়া হল অর্জুন সিংয়ের গড়। সেখানে ১২ জন কাউন্সিলারকে দলে টেনে তাঁর গড়ে হানা দিল শাসক তৃণমূল। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, অর্জুনের রাশ কি আলগা হয়ে যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রের খবর, কাউন্সিলারদের তৃণমূলে যাওয়া আটকানো হচ্ছে না। পুরসভা তৃণমূল দখলেও আপত্তি নেই বিজেপির। পুরসভা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ রাজ্য সরকার বিভিন্ন খাতের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত পুরসভাগুলিতে। এতে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। নাগরিক পরিষেবা লাটে উঠেছে। অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। আগামী এপ্রিল মাসে ভাটপাড়া পুরসভার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচনের আগে পুরসভার ক্ষমতায় তৃণমূল এলে ভোটে লড়তে সুবিধা হবে বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে। গাডুলিয়া পুরসভার ক্ষমতা একই ভাবে তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও কয়েক মাস পর নির্বাচন। এটাই একমাত্র কারণ, নাকি অন্য কিছু আছে? তা অবশ্য খোলসা করছেন না বিজেপি নেতারা।
তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আরও পাঁচ কাউন্সিলার খুব দ্রুত আমাদের দলে যোগ দেবেন। আগামী ৬ ডিসেম্বর অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। তার আগেও অনাস্থা আনা হতে পারে। তা নিয়ে আইনি পরামর্শ চলছে। বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং ফোন ধরেননি। ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ১২ জন তৃণমূলে গিয়েছেন। কিন্তু, অনাস্থার ভোটভুটি হলে আমাদের দলেরই চেয়ারম্যান নির্বাচন হবেন। বোর্ড ওল্টাতে পারবে না ওরা।