ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
রাজ্য সরকার এবছর ধানের সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে। গত বছর সরকারের সহায়ক মূল্যে কুইন্টাল প্রতি ছিল ১৭৭০ টাকা। এবছর তা বাড়িয়ে ১৮৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এখনও নতুন ধান কাটার কাজ সেভাবে শুরু না হলেও কৃষকদের অনেকে বাড়িতে মজুত পুরনো ধান রয়েছে। সেগুলি বিক্রি করতে তাঁরা ইচ্ছুক থাকলেও বিক্রি করতে পারছে না। কিষাণ মাণ্ডিতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের। এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। কৃষাণ মাণ্ডিগুলিতে গিয়েও দেখা গিয়ে কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। সেখানে ধান কেনা বা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কিছুই শুরু হয়নি।
যদিও জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, কিষাণ মাণ্ডিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধান কেনাও চালু রয়েছে। এখনও সেভাবে ধান কাটা শুরু হয়নি। তাই হয়তো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করছি দ্রুত ধান আসতে শুরু করবে। এবছর আমাদের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক লক্ষ মেট্রিক টন। টার্গেট পূরণ আমাদের হয়ে যাবে।
এবছর ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছিল। খাদ্য দপ্তরও এবছর জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। গত বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবছর তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এবছর এক লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যদিও বৃষ্টির কারণে এবার ফলনও কিছুটা মার খেয়েছে। কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ক্ষতি পূরণ করতে তারা পুরনো ধান নিয়ে কিষাণ মাণ্ডিতে গেলেও তা বিক্রি করতে পারছে না। সেখানে গিয়ে ফেরত আসতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা খোলা বাজারে কম দামে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।
গত বছরও সরকারিভাবে ধান কেনা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ফড়েদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও ওঠে। এবছরও পুরো মাত্রায় ধান কেনা শুরু হলে গতবারের পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না সেনিয়ে কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তাঁরা বলেন, এবছর ধান কেনার ব্যাপারে গোড়া থেকেই দপ্তরের গড়িমসিতে সেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।