ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
গ্রামের বেশ কয়েকজন কাশ্মীর থেকে সরকারি ভাবে ফিরলেও, এখনও ওই তিন শ্রমিক না ফেরায় পরিজনেরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। আমিনুল হক, মসিদুর হক ও নুর আলম নামে ওই শ্রমিকেরা দু’মাস আগে কাশ্মীরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছেন। দিন সাতেক আগে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। ফোনে কথা হয়েছিল। তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন সেখানে ভালো আছেন। কিন্তু তারপর আর কোনও যোগাযোগ তারা করেনি। এখান থেকেও ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতেই চিন্তা বেড়েছে পরিবারের সদস্যদের।
আমিনুল হকের স্ত্রী মিনারা বিবি বলেন আমার স্বামী ও ছেলে দু’মাস আগে গ্রাম থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়েছে। গ্রামের দু’জন কাশ্মীরে কাজে গিয়েছিল। তাদের সরকার থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী আর ছেলেকে তারা কেন আনতে পারল না? খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বর্তমানে বাড়িতে ছোট এক শিশুকে নিয়ে আছি। সাতদিন আগে কথা হয়েছে। ওরা বলেছে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসব। তারপর থেকে আর ফোন করেনি। স্বামী ও ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ব্লকে আবেদন করব। নুর আলমের মা গুন্নেহার বিবি বলেন আমার ছেলে কাশ্মীরে কাজে যায়। আবার চলে আসে। শেষবার দুমাস আগে গিয়েছে। এখনও তার কোনও খোঁজ জানি না। আমি মা। ছেলের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বাকিদের মতো ছেলেকে সরকারিভাবে গ্রামে ফিরিয়ে আনা হোক।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় বলেন বংশীহারি ব্লকের দু’জন কাশ্মীর থেকে ফিরেছে এই তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এখনও তিনজন শ্রমিক কাশ্মীরে রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। যদি কোনও শ্রমিক এখনও সেখানে থেকে থাকে, তারা ফিরতে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের জেলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করব।
বংশীহারি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গণেশ প্রসাদ বলেন আমি শুনেছি তিনজন শ্রমিক এখনও কাশ্মীরে রয়েছে। তাদের পরিবারকে ব্লকে লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তাহলে তাদের সরকারি ভাবে জেলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। আমি গ্রামে গিয়ে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলব।