ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী কথা বলে বিজেপি মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রাখতে চাইছে। মানুষ যাতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা না বলতে পারে, তার জন্য তাদের মধ্যে এনআরসি নিগে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। অসাংবিধানিক পন্থায় অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। আমরা মানুষের এই আতঙ্ক দূর করার জন্য ও তাদের হয়রানির হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য বুথে বুথে ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকা পৌঁছে দিচ্ছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে ১৯৫১ সালের ভোটার তালিকাও মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে আগামী দিনে।
১৯৭১ সালে জেলায় ১০টি বিধানসভা কেন্দ্র ছিল। সেই ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা জেলা কংগ্রেসের তরফে ব্লক কংগ্রেসের সভাপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ব্লক সভাপতিরা অঞ্চল সভাপতিদের কাছে সেটি পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে বুথভিত্তিক ভোটার তালিকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচীর পাশাপাশি এই কর্মসূচী হাতে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দলের তরফে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক দূর করার জন্যই এই উদ্যোগ। সাধারণ মানুষ সরকারি দপ্তর থেকে নথি জোগাড় করতে ও সেসব ঠিকঠাক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারি আফিসগুলোতে নথি জোগাড় করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এরাজ্যে এনআরসি চালু হবে বলে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে প্রচারের ফলে এরাজ্যের মানুষও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আতঙ্কিত মানুষ ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে জেলা নির্বাচন সেল ও রাজ্য মহাফেজখানতে ছোটাছুটি শুরু করেছেন। গরীব ও অশিক্ষিত মানুষের পক্ষে সেসব নথি জোগাড় করা একপ্রকার অসম্ভব। যাঁরা দিনমজুর, যাঁদের একদিন কাজ না করলে অন্নের সংস্থান হয় না, তাঁদের পক্ষে সরকারি দপ্তরে প্রতিদিন ঘোরা সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকা চেয়ে জেলাশাসকের নিকটে লিখিত আবেদন করা হয় বলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশচন্দ্র পুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম জানান।
সাধারণ মানুষ অবশ্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা রামু মণ্ডল, আজিজুর রহমান, হুমায়ন কবীর প্রমূখ বলেন, এই তালিকা না পাওয়া গেলে জেলাশাসকের দপ্তরে ঘুরতে হতো। কিন্তু আমরা বাড়িতে বসেই পেয়ে গেলাম। এতে আমাদের হয়রানি কমলো, টাকাও বাঁচলো।
জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা কংগ্রেস এর মাধ্যমে জনসংযোগের কাজটিও সেরে নিচ্ছে। বুথে বুথে সাধারণ মানুষের কাছে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা পৌঁছে গিয়ে নিজেদের জনভিত্তি মজবুত করে নিচ্ছেন। যদিও জেলা কংগ্রেসের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, শুধু মানুষকে হয়রানির হাত থেকে রেহাই দিতেই এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।