ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার যুব মোর্চার একটি ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পুরুলিয়ার জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসককে সেই স্মারকলিপি দিতে না পেরে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপির জেলা সভাপতি এবং এমপি সহ ১০জনের একটি প্রতিনিধিদল। বিজেপি নেতৃত্ব ওই দিনই জেলাশাসক সহ জেলাপ্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি ডেপুটেশনের কপি জমা না নিয়ে জেলা প্রশাসন পুরুলিয়া জেলার জনপ্রতিনিধি তথা জনগণকে অপমান করেছে বলে অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরের মৌন মিছিল করে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে হাঁটেন। জুবলি ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা শহরের একাংশ পরিক্রমা করে জেলাশাসকের কার্যালয়ের বাইরে শেষ হয়।
সেখানে সংসদ সদস্য জেলা প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে বলেন, হুঁশিয়ার করে যাচ্ছি। এদিন মৌন মিছিল করলেও আগামীদিন মিছিল আর মৌন থাকবে না। জেলাপ্রশাসন এবং বিভিন্ন আধিকারিকরা নিজেদের মনোভাব পরিবর্তন না করলে পুরুলিয়া তথা বাংলায় আন্দোলনের আগুন জ্বলবে। আগামীদিনে তৃণমূলের সরকার থাকবে না। তারা যেন ভুলে না যায় যে আগামীদিন বিজেপির সরকার আসবে। প্রশাসন এখন তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ওই আধিকারিকদের পরেও চাকরি করতে হবে।
বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বলেন, এদিনের মৌনমিছিলের মাধ্যমে ভদ্রভাবে আমরা জানালাম যে, পুরুলিয়ার জনগণের ক্ষতি আপনারা করবেন না। জেলাশাসককে উদ্দেশ্য করে বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, পুরুলিয়ার জনগণকে এভাবে অপমান করবেন না। কারণ, পুরুলিয়ার আপামর জনসাধারণ আর বসে থাকবে না। সেদিন যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিটা হবে আপনি এখানে বসে থাকতে পারবেন না।
পরে বিদ্যাসাগরবাবু ফোনে বলেন, পুরুলিয়ার মানুষ বহু সমস্যা নিয়ে জেলাশাসকের কাছে যান। এদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে ভদ্র্রভাবে বার্তা দেওয়া হল যাতে জেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে কাজ ঠিক ভাবে করে। এদিনের মৌনতায় জেলাশাসকের টনক না নড়লে বিজেপিকে বিকল্প পথ তো ভাবতেই হবে।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলার সহ সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন অছিলায় বিজেপি নেতারা প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধমকানো ও চমকানোর কাজ শুরু করেছেন। ওঁদের ধমকে কাজ হবে না। জেলাশাসক না থাকলে অতিরিক্ত জেলাশাসক ডেপুটেশন নিতেই পারেন। ঘটনার দিন অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) ডেপুটেশন নেওয়ার জন্য ছিলেন। কিন্তু, বিজেপি বিভিন্ন কথা বলে আসলে বাজার গরম করতে চাইছে।