আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ১৭ জুলাই সমস্ত উপাচার্যদের নিয়ে একটি বৈঠক আছে বলে জানি। এর বাইরে কোন বৈঠকের কথা এখনও শুনিনি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন মৌসম নুর বলেন, আমাদের দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ১৪ই জুলাই আমাকে কিছু আলোচনার জন্য ডেকেছেন। সেখানে আর কে থাকবেন সে বিষয়ে আমার ধারণা নেই। তবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান ধরনের অভাব অভিযোগের কথা আমার কানে এসেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা কেন চলছে তা অবশ্যই ভাবার বিষয়। গোটা বিষয়টি আমি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে অবগত করেছিলাম। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে শিক্ষা প্রসারের জন্যে নানান ধরনের উদ্যোগ নিয়ে চলেছেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একটি শিক্ষাকেন্দ্র নিয়ে অভিযোগ ওঠা খুবই অবাঞ্ছিত। এর বাইরে কিছু বলার নেই। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, আমরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান অরাজকতা এবং অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছি। আমরা কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদের অনেকটা সময় দিয়েছিলেন। তিনি সমস্ত বিষয় খুব মন দিয়ে শুনেছেন। আমাদের বলেছেন, শিক্ষার্থী হিসেবে একই সঙ্গে শিক্ষা এবং প্রতিবাদী চরিত্র ধরে রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি উপাচার্যকে ডেকেছেন বলেও জানিয়েছেন।
মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানান অস্থিরতা নতুন নয়। মাঝে একটি সামান্য সময়ের জন্য অস্থিরতা কিছুটা কম থাকলেও ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা শুরু হয়। সম্প্রতি ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগে এক ছাত্রের অবৈধ ভর্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষার্থী উপাচার্যের ঘরে ধরনা বিক্ষোভ শুরু করে। তার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত মে মাসে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নুরকে ময়দানে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ তুলে দিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে হয়। কিন্তু জুন মাসের শেষ দিকে বিতর্ক না মিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়।
অবৈধ ভর্তিকে কেন্দ্র করে এই ডামাডোলের পরিস্থিতিতেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুরের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে বিষয়টি তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং গোলাম রব্বানির কানেও পৌঁছয়। তারপরে বিষয়টি নিয়ে মৌসম শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। তৃণমূল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডেকেছেন।