আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই জেলার আকাশ কালো ঘন মেঘে মুখভার করে ছিল। সাড়ে আটটার পর থেকে বর্ষণ শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও চাঁচল মুষলধারে বৃষ্টি হয়। আর এতেই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার ছবি বেআব্রু হয়ে পড়ে। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। বাজার হাট, একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। টানা বৃষ্টিতে এদিন ব্লক সদর এলাকা কার্যত জলের তলায় চলে যায়। দুর্ভোগে পড়ে বাসিন্দারা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেই দুষতে থাকেন। বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ বর্ষার আগে নালাগুলির সাফাই, সংস্কার না করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতি বছরই এই দুর্ভোগ হয়। কেউ কোনও পদক্ষেপ নেয় না।
চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, চাঁচলে সকাল থেকেই চরম বৃষ্টি পড়ছে। এক সময় আকাশ দেখে মনে হচ্ছিল মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে বহু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। বাড়িঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। চাঁচলের সদর এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমস্যা আগাগোড়াই ছিল। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি না দাঁড়ায় এবিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।
চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কংগ্রেসের উৎপল তালুকদার বলেন, বর্ষার আগেই নিকাশি সংস্কার নিয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এনিয়ে আইএসজিপিতে একটি প্রস্তাবও পাঠানো আছে। যদিও সেখানে থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় আমরা নালাগুলি সাফাই বা সংস্কার করতে পারেনি। যে কারণে এদিন বেহাল নিকাশি অবস্থা সামনে এসেছে। আমরা এনিয়ে আবার উদ্যোগ নিচ্ছি। মানুষের যাতে দুর্ভোগ কমে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জেলা কৃষি দপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যা নাথ বোস বলেন, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চাঁচলে ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রবল বর্ষণের রিপোর্ট হাতে আসেনি। জেলাজুড়েই আমাদের নজরদারি চলছে। বৃষ্টিপাতের জেরে ফসলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে কি না দেখা হচ্ছে।
সকালে প্রবল বর্ষণে চাঁচলের বিধান সরণি, আমলা পাড়া, থানা পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, চাঁচল দৈনিক বাজার, বারোগাছিয়া, অরবিন্দপল্লি, বাবুপাড়া, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। ওইসব এলাকায় বিভিন্ন রাস্তার পাশাপাশি বাড়ি ঘরে জল ঢুকে যায়। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে চাঁচল দৈনিক বাজারের সব্জিমাণ্ডি কার্যত ভেসে গিয়েছে। সবব্জি বিক্রেতাদের প্রচুর লোকসান হয়। দিনভর আর বাজার বসতে পারেনি। বেলা পর্যন্ত রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে থাকে। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে জল জমে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে দুর্ভোগ বাড়ে। চাঁচলের একাধিক নিকাশি নালা উপচে গিয়ে আবর্জনা রাস্তায় উঠে আসে। তাতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রবল বর্ষণের পর বৃষ্টিপাত থামেনি। মাঝারি বৃষ্টি হতে থাকে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি থামে। চাঁচলের পাশাপাশি রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজোলেও এদিন বৃষ্টি হয়েছে।