আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
রেল সূত্রে খবর, আপ দার্জিলিং মেল ৮টা বেজে ১৫মিনিটে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছনোর কথা। যদিও এদিন মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশনের কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রায় তিন ঘণ্টা সেটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে এনজেপি স্টেশন ইয়ার্ড থেকে একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালগাড়িটিকে রেল ট্র্যাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে দার্জিলিং মেল ১০টা বেজে ৫৯ মিনিটে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছয়। এবিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম পার্থপ্রতীম রায় বলেন, লাইনে একটি মালগাড়ি এনজেপির দিকে আসছিল। আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার এগতেই সেটির ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। স্বাভাবিক কারণেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। ঠিক সে সময়ই ওই একই লাইনে দার্জিলিং মেল এনজেপি আসার কথা ছিল শিয়ালদহ থেকে। তবে একই লাইনে মাল গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় দ্রুত দার্জিলিং মেলকে দাঁড় করানো হয়। কিছু সময় বাদেই এনজেপি থেকে একটি ইঞ্জিন পাঠিয়ে ওই মালগাড়িটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরেই দার্জিলিং মেল এনজেপি পৌঁছয়। ঘটনায় দার্জিলিং মেল প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে চলে। তবে সেভাবে কোনও সমস্যা হয়নি।
এদিকে স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় একটানা প্রায় তিন ঘণ্টা দার্জিলিং মেলকে আটকে রাখার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। সেখানে পানীয় জল থেকে খাবার কিছুই পাচ্ছিলেন না। কলকাতা থেকে আগত এক যাত্রী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, কলকাতায় বিশেষ কাজে গিয়েছিলাম। এদিন ফিরছিলাম। ফিরেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। তবে ট্রেন প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছানর দরুণ তা আর হল না। ঘটনার জেরে অনেকটাই সমস্যা হয়ে গেল। এছাড়াও ট্রেনটি এক্কেবারে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকায় জল, খাবার কিছুই মেলেনি। ঘটনায় প্রায় সকল যাত্রীদের পাশাপাশি আমিও সমস্যায় পড়েছিলাম। শিলিগুড়ির বাগডোগরার বাসিন্দা পবিত্র দাস বলেন, সপরিবারে ফিরছিলাম কলকাতা থেকে। পানীয় জল, খাওয়ার কোনটাই মেলেনি ওই তিন ঘণ্টায়। খুবই সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ব্যবহার অযোগ্য শৌচালয়ের জেরে। শৌঁচালয়ে পা রাখা দায় হয়ে পড়েছিল।