আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, পুর ওয়ার্ডগুলিতে জঞ্জাল অপসারণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপরে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে দু’বেলা জঞ্জাল সাফাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য সাফাই কর্মীরা দু’শিফটে কাজ করবেন। নতুন করে ঝাড়ুদার নিয়োগ করে পুরসভার রাস্তায় ঝাড়ু দেওয়া হবে। আমরা যুব সমাজকে নেশা থেকে দূরে রাখতে এবং খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চাই। সেকারণে ক্লাবগুলিকে খেলাধুলোর সামগ্রী দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছি।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভায় এতদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে জঞ্জাল তোলার জন্য ১০টি ট্রাক্টর কাজ করত। এখন এই কাজের জন্য আরও ১০টি ট্রাক্টর কেনা হবে। মোট ২০টি ট্রাক্টর দু’বেলা ওয়ার্ডের জঞ্জাল সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য আলাদা আলাদা ট্রাক্টর কাজ করবে। এতদিন পর্যন্ত পুরসভা এলাকায় রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই কাজও শুরু হবে। পুরসভার দাবি, দুর্গাপুজোর আগেই ১৭টি ওয়ার্ডের জন্য ঝাড়ুদার নিয়োগ করা হবে। ওই কর্মীদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে কাজ বণ্টন করে দেওয়া হবে। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। সাত বিঘা জমির উপরে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডটি অবস্থিত। পরবর্তীতে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য পুরসভা আরও তিন বিঘা জমি কিনেছে। সেই তিন বিঘা এলাকাতে সীমান পাঁচিল দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা।
এদিকে, পুরসভা তার নিজস্ব ফান্ড থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে শহরের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় খেলাধুলোর সামগ্রী বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরসভার দাবি, এলাকার যুবকেরা যাতে কোনওভাবেই মাদকজাতীয় নেশার প্রতি আকৃষ্ট না হয়, তারা যাতে সমাজের মূল স্রোতে থেকে খেলাধুলো ও দেহ চর্চার প্রতি আগ্রহী হয় সেজন্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই খেলাধুলোর সামগ্রী তাদের মধ্যে বিলি করা হবে।