আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
শিক্ষক সুশীলবাবু বলেন, আমি সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিই। আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি। এতে আমার কোনও ক্লান্তি মনে হয় না। নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত স্কুলে যাই। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়িতে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম নিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় টিউশনি পড়াই। আর বছরখানেক চাকরি আছে। আমি চাকরির শেষদিন পর্যন্ত সাইকেল নিয়েই স্কুল করব। স্কুলে যাওয়ার সময় কিংবা স্কুল থেকে ফেরার পথে দূষণ রুখতে গাড়ির কম ব্যবহার এবং সুস্থ থাকতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা দরকার। আমি সকলকে সেটাই বলে বোঝানোর চেষ্টা করি।
প্রাক্তন সৈনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সুশীলবাবুর দুই মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছেন। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর সংসারে আছেন স্ত্রী। ১৯৮১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। চাকরির খাতিরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিনি বদলি হয়েছেন। টানা ২৪ বছর সেনাবাহিনীর চাকরি করেন। হাবিলদার পদে ছিলেন তিনি। অবসর নিয়ে গ্রামের বাড়ি চকভৃগুতে ফেরেন। ২০১০ সালে তপন ব্লকের গণাহার প্রাথমিক স্কুলে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ছ’টি ঋতুতেই তিনি সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন। প্রবল ঠান্ডা কিংবা প্রখর রোদ কিংবা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলেও তিনি ওই দীর্ঘপথ সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছন। সুস্থ নীরোগ জীবনযাপন করছেন তিনি।
ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে তাঁর বার্তা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য দূষণ কমানো দরকার। এছাড়া শরীরকে সুস্থ নীরোগ রাখতে কায়িক শ্রমের বিকল্প নেই। সেজন্যই সাধ্য অনুযায়ী সকলকে শারীরিক কসরত করা উচিত। তিনি বলেন, শারীরিক পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হতো। সেই অভ্যেসই ধরে রেখেছি। এতে আমি ভালো আছি। কথায় কথায় ডাক্তারখানায় ছুটতে হয় না। মনও ভালো থাকে। কাজে উদ্যম পাই। আমার কিশোর, যুবক থেকে বয়স্ক মানুষ সব বয়সের মানুষের কাছে আমার একটাই বার্তা নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ভালো থাকবেন। শরীরচর্চা মানে শুধু সাইকেল চালানোই নয়। যে কোনও কায়িক শ্রম করাটা জরুরি। সাইকেল ব্যবহার করে আমি একটা বার্তাই দিতে চাই পরিবেশ দূষণ মুক্ত হোক। বাইক, গাড়ি এসবের বেশি ব্যবহারের ফলে প্রতিদিন দূষণ ছড়াচ্ছে। আমাদের বাসস্থলকে আমরাই দূষিত করে চলেছি।