আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সুবোধবাবু সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৭০০০ আবার কারও কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। টাকা না দিলে ঘর দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিতেন। পাশাপাশি তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায় বলেন, সরকারি প্রকল্পের ঘর পেতে সুবোধবাবুকে ৭০০০ টাকা দিতে হয়েছে। এখন সেই টাকা চাইলে হুমকি দিচ্ছেন। এদিন গ্রামের প্রচুর বাসিন্দা তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে তা ফেরতের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন। সে কারণে আমিও সেই টাকা ফেরত চাইতে এসেছি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বৃদ্ধা কুটুলি রায় বলেন, এই সুবোধবাবু আমার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা নিয়ে ঘর দিয়েছেন। পরবর্তীতে আমি জানতে পেরেছি এই ঘর আমাদের টাকা না দিয়েই পাওয়ার কথা। এজন্য আমরা এই টাকা ফেরত চাইতে এসেছি। অপর এক বাসিন্দা সরেন রায় বলেন, সুবোধ রায় আমার কাছ থেকেও ১০ হাজার নিয়েছেন। আমি টাকা দিতে পারব না জানালে আমাকে তিনি পরিষ্কার মুখের উপর বলে দিয়েছেন টাকা না দিলে ঘর হবে না। এরপর বহু কষ্টে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তারপর ঘর পেয়েছি। কিন্তু এখন আমরা শুনেছি সরকার কাটমানি ফেরত দিতে বলেছে। সে কারণে আমরা আমাদের টাকা ফেরত নিতে এসেছি।
এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের সুবোধ রায় বলেন, আমার নামে কিছু লোক দুর্নাম করার চক্রান্ত করছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার একটাই বক্তব্য আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। বিজেপি এখানে এই কাজ করছে। চূড়াভাণ্ডারের বিজেপি নেতা নিতাই রায় বলেন, এদিন যাঁরা ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি গিয়েছেন তাঁরা সাধারণ গ্রামবাসী। ওই তৃণমূল নেতা কাটমানি নিয়েছেন বলেই গ্রামবাসীরা এদিন ধর্নায় বসেছেন। তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, এসব সবই বিজেপি’র ষড়যন্ত্র। আমাদেরকে তারা হেয় করতে এসব করছে। কিন্ত মানুষ ধীরে ধীরে সব বুঝতে পারছে।