শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বিপ্লববাবু বলেন, দলের নেত্রী একজন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাঁকে প্রার্থী করবেন তাঁকে জেতানোর দায়িত্ব আমার। জেলা সভাপতি হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করব। অর্পিতাদেবী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁরা প্রার্থী থাকছেন। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পাকাপাকি ভাবে থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মতো আমি মঙ্গলবারই বালুরঘাটে পৌঁছে যাব। তিনি যাকে মনে করবেন তাঁকে প্রার্থী করবেন। আমাকে প্রার্থী করা হলে দলকে জেতাতে যা প্রয়োজন সব করব। এদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রী বাঁচ্চু হাঁসদা বলেন, কোর কমিটির মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যাঁরা ভালো কাজ করেছেন তাঁরাই প্রার্থী থাকছেন। অর্পিতা জেলায় ভালো কাজ করেছেন। নেত্রীর প্রার্থী তালিকায় অর্পিতা আছেন কি না তা আমি বলতে পারব না। তবে যাঁকেই প্রার্থী করা হোক দলের হয়ে কাজ করব।
এবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে জেলায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যেও প্রার্থী পদ নিয়ে নানা মতামত উঠেছে। প্রার্থীপদ নিয়ে অর্পিতাদেবী এবং বিপ্লববাবুর অনুগামীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝগড়া জেলায় পরিচিত ঘটনা। বহিরাগত কাউকে প্রার্থী না করে জেলার ভূমিপুত্র বিপ্লববাবুকে প্রার্থী চেয়ে তাঁর অনুগামীরা প্রচার করছেন। এদিকে জেলার উন্নয়নকে ধরে রাখতে অর্পিতাদেবীকে প্রার্থী করার দাবিতে তাঁর অনুগামীরা প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, সংসদ সদস্যের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা খরচ করে অর্পিতাদেবী রাজ্যে প্রথম হয়েছেন। তিনিই সংসদ সদস্য থাকলে জেলার ভালো হবে।
তৃণমূল অন্দরের খবর প্রার্থীপদ নিয়ে কর্মীদের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই দুই নেতানেত্রীও নিজেদের মতো করে কলকাতায় দরবার শুরু করেন। এরমধ্যেই অর্পিতা অভিযোগ তোলেন বিপ্লববাবু নাকি নেত্রীকে জানিয়ে এসেছেন বর্তমান এমপিকে এবার প্রার্থী করা হলে তাঁকে জেতানো সম্ভব হবে না। যদিও বিপ্লববাবু অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এনিয়ে জেলায় আলোড়ন পড়ে যায়। সেই গুঞ্জন না থামতেই সোমবার কোর কমিটির বৈঠকে দলনেত্রীর বার্তায় বালুরঘাটে অর্পিতাদেবীরই প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়েছে।