শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরমন্ত্রী ও মালদহের সংসদ সদস্য মৌসম নুরকে দুর্গতদের পরিবারের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন দুপুরে দুর্গত পরিবারগুলির কাছে যেতেই পুরমন্ত্রী হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শ্রমিকদের পরিজনেরা। মন্ত্রী ও মৌসম নুর তাঁদের হাতে দুই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়ার সঙ্গে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এদিনই পুরমন্ত্রী দুর্গত শ্রমিক পরিবারের মেয়েদের জন্যে অঙ্গনওয়াড়িতে চাকরি ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এদিন দুপুরে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল, মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র সহ একঝাঁক তৃণমূলনেতাকে নিয়ে পুরমন্ত্রী ও মৌসম নুর এনায়েতপুরের মোমিনপাড়ায় যান। সেখানে তিনি দুর্গত পরিবারগুলিকে সরকারের দেওয়া অর্থ সাহায্যের চেক হাতে হাতে তুলে দেন। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকল নাগরিকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখেন। আমি ও মৌসম তাঁরই নির্দেশে এসেছি। দুর্গত পরিবারগুলিকে এদিনই দু’লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন তাঁদেরই স্ত্রী’রা সকলেই কমবয়স্ক। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের তো আমরা ফেরাতে পারব না। কিন্তু তাঁদের পরিবারকে বাঁচাতে আমরা অঙ্গনওয়াড়িতে পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেব। বাড়ির বয়স্কদের জন্যে ভাতার ব্যবস্থা ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে।
এরপরেই তিনি বলেন, একটি কারখানাতে বিস্ফোরণ হয়ে গেলে কীভাবে? তাহলে সেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী সহজেই বোঝা যায়। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই বাংলায় এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যান। যিনি নিজের রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না তাঁর মুখে এসব মানায় না। আমাদের রাজ্যে যে ঘটনা ঘটেছে সবক্ষেত্রেই অপরাধীদের সামনে আনা হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে বিভাজনের রাজনীতি করে যাচ্ছে ওরা। আর মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে। মালদহের সংসদ সদস্য তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মৌসম নুর বলেন, আমাদের নেত্রী মানুষের জন্যে রাজনীতি করেন। বারবার এখানকার শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে গিয়ে সমস্যা পড়েছেন, জীবন হারিয়েছেন আর তিনি তাঁদের পাশে সবরকমের সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আর একদল মানুষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার উত্তরপ্রদেশে বিস্ফোরণে একটি কার্পেট কারাখানায় কর্মরত মালদহের মানিকচকের এনায়তেপুরের নয় জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবারই জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক ও পুলিস সুপার দুর্গত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন।