শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
গোয়েন্দা মহলের দাবি, সহজে বাজারে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব বলেই ৫০০ টাকা ছড়াতে ময়দানে নেমেছে পাচারকারীরা। পাশাপাশি, ৫০০ টাকার মান উন্নত করতে কিছুটা বাড়তি সময়ও লেগেছে। তাই ২০০০ টাকার পরে এবার ৫০০ টাকা ছড়াতে বেশি তৎপর হয়েছে জালনোট চক্রের পাণ্ডারা। সদ্য যে নমুনাগুলি অসমে পাঠানো হচ্ছিল সেই নমুনা দেখেই গোয়েন্দাদের দাবি, ওই টাকা খুবই উন্নতমানের।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি (গোয়েন্দা শাখা) এস এস গুলেরিয়া বলেন, এই প্রথম আমরা ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার নতুন জালনোট পেয়েছি। এরমধ্যে সদ্য অসমে যাওয়ার পথে যে টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা খুবই উন্নতমানের। এঘটনা উদ্বেগের। মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জালনোট পাচার রুখতে আগে থেকেই আমাদের সমস্ত বিওপিগুলিকে সতর্ক করা আছে। আমরা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
দেশে নতুন ২০০০ টাকার নোট চালুর পরপরই তা জাল করে ফেলেছিল চোরচালানের চাঁইরা। ২০১৭ সালে প্রথমবার গোয়েন্দা মহলের কাছে তথ্য আসে যে, ৫০০ টাকার নোট জাল করার কাজও শুরু করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ৫০০ টাকার সমস্ত সুরক্ষা চিহ্ন সহ জাল করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু ওই টাকা ছড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আসতে শুরু করে যে, এবার ৫০০ টাকা ছড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হবে। তার অন্যতম বড় কারণ, ২০০০ টাকার তুলনায় ৫০০ টাকা সহজে বিনিময় করা যায়।
গত প্রায় এক দেড় মাসে মালদহ সীমান্ত থেকে একাধিকবার ৫০০ টাকার জালনোট বিএসএফ বাজেয়াপ্ত করে। প্রতিক্ষেত্রেই ২০০০ টাকার তুলনায় খুব সামান্য ৫০০ টাকার নোট মিলছিল। পাশাপাশি সেগুলির গুণমানও তেমন উন্নত ছিল না। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভোরে মালদহের ইংলিশবাজার রেলস্টেশন থেকে অসম যাওয়ার পরে এক পাচারকারীকে ধরার পরেই চমকপ্রদ তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। ওই সামান্য পরিমাণ ৫০০ টাকার নোট মূলত অর্ডার ধরার জন্যে নমুনা হিসাবে পাচারচক্রের চাঁইদের কাছে পাঠানো হচ্ছিল। পাশাপাশি, এতথ্যও গোয়েন্দাদের কাছে আসে যে, মালদহ সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে ভূখণ্ডে বিপুল পরিমাণে ৫০০ টাকার উন্নত মানের জালনোট মজুত করা হয়েছে। বরাত পেলেই সুযোগ বুঝে তা পাঠানো শুরু হবে।