বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
নদীয়া জেলায় প্রথম পুরস্কার পায় কৃষ্ণনগরের বাঘাডাঙা বারোয়ারি। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে কৃষ্ণনগরের রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে তেহট্ট যুব সঙ্ঘ। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বাঘাডাঙা বারোয়ারি ও অন্নপূর্ণা বারোয়ারির মধ্যে। হুগলির সেরা পুরস্কার পেয়েছে রথের সড়ক সম্বলা শিবতলা। দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর পুরস্কার পেয়েছে দৈবকপাড়া এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে চন্দননগরের লালবাগান পাদ্রিপাড়া।
বর্তমান কানেক্টের তরফে এবছর নদীয়া জেলার সেরা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিকে সম্মান দেওয়া হয়। তাতে জেলার ১০টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে শুধু কৃষ্ণনগর শহরেরই ছিল ছ’টি পুজো কমিটি। কৃষ্ণনগরের বাঘাডাঙা বারোয়ারি, রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি, বউবাজার বারোয়ারি, আমিনবাজার বারোয়ারি, গোলাপট্টি বারোয়ারি অংশগ্রহণ করে। তেহট্ট এলাকায় তিনটি পুজো কমিটিও ছিল প্রতিযোগিতায়। তেহট্ট সেমনেন্স বয়েজ, তেহট্ট যুব সঙ্ঘ ও তেহট্ট বেয়াই নেতাজি সঙ্ঘ সেরার প্রতিযোগিতায় শামিল হয়। শান্তিপুর থেকে এই প্রতিযোগিতায় সূত্রাগড় পুজো কমিটিকে বাছাই করা হয়।
তাদের পুজোর ভিডিও বর্তমান কানেক্টের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আপলোড করা হয়। সেখানেই ভোটিং করার সুযোগ ছিল দর্শনার্থীদের। চব্বিশ ঘণ্টা ধরে ভোটিং চলে। তাতে দেখা যায়, ‘আলপনা’কে থিম ভাবনায় তুলে ধরা বাঘাডাঙা বারোয়ারি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। সেরার সম্মান পেয়ে খুশি এই পুজো কমিটি। সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা আমাদের ভোট দিয়ে সেরা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সেরা জগদ্ধাত্রী পুজোর সম্মান পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
উজ্জয়িনী মহাকাল লোককে থিম ভাবনায় তুলে ধরা রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক রাজকুমার দত্ত বলেন, ‘বর্তমান কানেক্টের প্রতিযোগিতায় আমরা জেলার দ্বিতীয় সেরার সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। আমরা গর্বিত।’ তৃতীয় স্থানাধিকারী তেহট্টের যুব সঙ্ঘের থিম ছিল, বেনারসের গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন। কমিটির সম্পাদক সাধনকুমার ঘোষ বলেন, ‘এই পুরস্কার পেয়ে আমরা গর্বিত।’
হুগলিতে চন্দননগরের রথের সড়ক সম্বলা শিবতলা তুলে এনেছে একটুকরো রাজস্থানকে। কমিটির সাধারণ সম্পাদক হীরক দে বলেন, ‘আমাদের থিম ছিল মরুদেশের রূপকথা। এই পুরস্কার আমাদের উৎসবে পৃথক মাত্রা যোগ করেছে। আমরা আপ্লুত।’ দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর পুরস্কার পেয়ে দৈবকপাড়ার উদ্যোক্তারা মণ্ডপে তাসাপার্টি নিয়ে নেমে পড়েন। ক্লাবকর্তা অমিত দাস বলেন, ‘মায়ের আঁচল থিমের মাধ্যমে আমরা নারীশক্তি, তাঁর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা ও তাঁতশিল্পকে একসূত্রে গেঁথেছি। ‘বর্তমান কানেক্ট’কে ধন্যবাদ। এই পুরস্কার আমাদের কাছে মহার্ঘ।’ চন্দননগরের লালবাগান পাদ্রিপাড়ার থিম ‘পৃথিবী গদ্যময়’। ক্লাবকর্তারা পুরস্কার পেয়েও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। প্রাচুর্যের পরিবেশের মধ্যেও একদল মানুষের সর্বহারা জীবনের ছবি মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ক্লাবের সহ সম্পাদক বাসুদেব নন্দী বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের কাছে প্রেরণার মতো। জনতার রায়ে আমরা সম্মানিত।’