সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রথম দিনই ধর্মঘটে ভালো সাড়া পড়েছে। হাতেগোনা কিছু ট্রাক বাইরের রাজ্য থেকে ঢুকেছে। রাজ্যের মধ্যে চলাচলকারী ট্রাকগুলি এদিন রাস্তার ধারেই দাঁড় করানো ছিল। কলকাতার পোস্তা সহ বহু বাজারেই ‘লোডিং-আনলোডিং’ প্রায় বন্ধ ছিল। দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। তার প্রভাব পড়বে বাজারে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বোস বলেন, ধর্মঘট নিয়ে মালিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আসলে মালিকরা নিজেদের পেটের দায়েই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। গোটা দেশে অ্যাক্সেল লোড বৃদ্ধিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম এই রাজ্য। তাতে মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সমানে চলছে পুলিসি জুলুমও।
এদিনও আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন বাজারে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন ধর্মঘটের সমর্থনে। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিশ্বনাথ আগরওয়াল বলেন, বাইরে যে সব ট্রাক যায়, তা লোডিংয়ের জন্য বাজারে লাগাতে দেওয়া হয়নি। এতে মালপত্র পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। কোলে মার্কেটের আধিকারিক কমল দে বলেন, রবিবার রাত পর্যন্ত মালপত্র এসেছে। ভিনরাজ্য থেকে ট্রাকে টম্যাটো, আলু, পিয়াজ সহ নানা জিনিসপত্র আসে। সেসব পণ্য আসতে না পারলে সমস্যা বাড়বে।
কী বলছেন ট্রাক মালিকদের অন্যান্য সংগঠনের নেতারা? ‘ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’-এর সহ সভাপতি তপন ভাদুড়ি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে ইন্টার স্টেট ট্রাকের ক্ষেত্রে ধর্মঘটকে সমর্থন করছি। স্থানীয় ভিত্তিতে চলা ট্রাকের বিষয়ে আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন বা বিরোধিতা কিছুই করছি না। স্থানীয় ভিত্তিতে কিছু মালিক ট্রাক চালাচ্ছেনও।