সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বেহালার পর্ণশ্রীর কাছে এক ট্যাক্সিচালক এবং দুই যাত্রী মিলে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধর করে। সেই ঘটনার পর ফের কলকাতার বুকে আক্রান্ত হলেন পুলিসকর্মী।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিত্যদিনের মতো রবিবার রাতে হাইল্যান্ড পার্কের সামনে সার্ভিস রোডে নাকা চেকিং চলছিল। সার্জেন্ট সত্যেন্দ্র কাঁওয়র এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা মোতায়েন ছিলেন সেখানে। সেই সময় দ্রুত গতিতে একটি বাইককে এগিয়ে আসতে দেখেন তাঁরা। কাছে এলে দেখা যায়, ওই বাইকে চারজন বসে রয়েছে। কারও মাথাতেই হেলমেট নেই। তাদের রাস্তা আটকাতেই বিপত্তি বাধে। দু’পক্ষের তর্কাতর্কি শুরু হয়। পুলিসের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সম্প্রতি বেকবাগানে নাকা চেকিং চলাকালীন কলকাতা পুলিসের এক ট্রাফিক কনস্টেবলকে রাস্তায় হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায় এক বাইকচালক। সেই ঘটনায় শিক্ষা নিয়ে পুলিসকর্মীরা বাইকের পিছনের অংশ ধরার বদলে ওই চারজনকেই ধরার চেষ্টা করে। যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, ওই সময় সার্জেন্ট সত্যেন্দ্র কাঁওয়রকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় অমিত কবিরাজ। বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুরের বাসিন্দা সে। সার্জেন্টকে ধাক্কাও দেয় সে। থামাতে গেলে সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মী বিজয় ভৌমিকের বাঁ হাতের আঙুল কামড়ে ধরে। আঙুল থেকে রক্ত বেরতে শুরু করে। যার পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাকিরা মিলে অভিযুক্তকে নিরস্ত করেন। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন বিজয় ভৌমিক। মোটর ভেহিক্যাল আইনের ১৮৫ (মত্ত অবস্থায় বাইক চালানো), ১২৮ (চালক ছাড়া একজনের বেশি যাত্রী), ১২৯ (হেলমেট না পরা) এবং ১৭৭ (উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকা) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অমিতকে। আটক করা হয়েছে বাকি তিনজনকেও।
সম্প্রতি শহরে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্সের হেনস্তার ঘটনার পর থেকেই রাতের শহরে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিস। নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু তা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে পুলিসকেই।