কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয়কুমার সিংহ বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলার আমার এক্তিয়ার নেই। আমি কোনও মন্তব্য করব না।
সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ বলেন, কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে ভাঙন রোধ হবে এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারাই ভালো বলতে পারবেন। ওঁদের নির্দেশেই কাজ হচ্ছে।
যখন গঙ্গা ভাঙন রোধ করতে পাথর দিয়ে গঙ্গার পাড় বাঁধানোর দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান চাইছেন তারা। ঠিক সেই সময়ে সামশেরগঞ্জের শিকদারপুরে বাঁশের চাটাই ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের উদ্যোগ করেছে প্রশাসন। ভাঙন রুখতে গঙ্গার জলে বাঁশের তৈরি চাটাই দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গার কিনারায় জলে চাটাই ফেলা হচ্ছে। চাটাইয়ে উপর বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। বাঁশের তৈরি চাটাই বস্তা ধরে রাখতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন সেচদপ্তরের আধিকারিক। সেচদপ্তরের এই কাজে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয় জনমানসে। বাঁশ দিয়ে আদৌ ভাঙন রোধ করা যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসী। প্রায় সপ্তাহ খানেক শিবপুরে আচমকাই প্রায় ২০০ মিটার এলাকা ধসে যায়। সাধারণত বর্ষার মরশুমে নদীতে জল বেশি থাকলে গঙ্গায় ভাঙন হয়। এবার শীতের শুখা মরশুমে ভাঙন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। গঙ্গা থেকে কয়েক মিটার দূরেই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এলাকাবাসীর দাবি, এখনও যদি বোল্ডার দিয়ে নদী বাঁধানো হয় তাহলে গ্রামটি রক্ষা পাবে। নইলে অচিরেই গোটা শিকদারপুর তলিয়ে যাবে।
শ্রমিক তৌফিক শেখ বলেন, চাটাইগুলোকে প্রথমে জলে ফেলে রাখা হয়। তারপর চাটাইয়ের উপরে বালির বস্তা ফেলা হবে। শেষে চাটাই সহ বালির বস্তাগুলোকে জলের তলায় বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এইভাবেই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিকদারপুরের বাসিন্দা সাবির হোসেন বলেন, গ্রামবাসীর দাবি ছিল বোল্ডার দিয়ে গঙ্গা বাঁধানো হোক। সেখানে বাঁশের চাটাই ও বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানোর কাজ চলছে।