কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
রাত পাহারায় অংশগ্রহণকারী একটি দলের সদস্য দিলীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা পাহারা দিচ্ছি। খবর পেয়ে পুলিস এসে দেখাও করেছে। তারা আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে, স্থানীয় মাদকাসক্তরাই এসব কাজ করছে। বাইরের কোনও চোরের পক্ষে গৃহস্থের বাড়ির খুঁটিনাটি জানা সম্ভব নয়। কোন বাড়ি ফাঁকা আছে, কোন বাড়িতে সোনাদানা, টাকাপয়সা পাওয়া যাবে, তা জানার পরই সুযোগ বুঝে সেখানে চুরি হচ্ছে। যতগুলি চুরির ঘটনা ঘটেছে, একাজ শুধু বাইরের লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মাদক কেনার টাকা জোগাড়ে বা যে কোনও কারণেই হোক-এই অপরাধে যুক্ত আছে বলে আমাদের বিশ্বাস।
দু’দিন আগেই বেতাই বিশ্ববন্ধু সেবাশ্রমের সিসি ক্যামেরায় দুই চোরের গতিবিধি ধরা পড়েছে। সিসি ক্যামেরা নজরে পড়তেই চোরেরা ক্যামেরার দিকে পিছন ঘুরে অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। রাত পাহারা দিয়ে চোরের দলের কাউকে পাকড়াও করতে পারলে এই চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত-সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। এবিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পুলিসের তরফে গ্রামবাসীদের সমস্তরকম সহযোগিতা করা হবে।