কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সিউড়ি শহরের বেনেপুকুর পাড়া এলাকায় একটি বিশাল আকারের পুকুর রয়েছে। কথিত আছে, এই পুকুরটি একসময় হেতমপুর রাজ পরিবারের সম্পত্তি ছিল। পরবর্তীকালে এই পুকুরটি সিউড়ি পুরসভার অধীনে আসে। এখন শহরের একমাত্র সরকারি পুকুর হিসেবে পুরসভার অধীনে রয়েছে। পুকুরের চারিদিকে বেআইনি জনবসতি গড়ে উঠেছে। এখানকার বাসিন্দাদের বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছে বলে অভিযোগ। অনেকেই সেখানে পাকাপাকি ভাবে বাড়িও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে সিউড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি সব্জি ও মাংসের বাজার ছিল একসময়ে। সেই বাজারটি সেখান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর সেখানকার দোকানদারদের বিকল্প জায়গা হিসেবে এই বেনেপুকুর পাড়া পুকুরের ধারে অস্থায়ীভাবে বসার ব্যবস্থা করেছিল পুরসভা। সেখানে প্রায় ২৫-৩০টির বেশি সব্জি ও মাংস বিক্রেতা দোকান চালাচ্ছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুকুরটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুকুরের চারপাশে আবর্জনা তুলে ফেলে সেখানে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি দোকানদারদেরও বসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু পুনর্বাসন নিয়ে অন্ধকারে ব্যবসায়ীরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, পুরসভা তাদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তাদের ফের দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করেনি পুরসভা। ওখানকার কয়েকজন ব্যবসায়ী স্নেহাংশু ভট্টাচার্য্য, প্রভাত মাহারা, উত্তম সাহা, দেবাশিস পাল বলেন, এখানে শুনেছি পুকুর সৌন্দর্যায়ন হবে এবং পার্ক হবে পুকুরের পারে। এর জন্য আমাদের তিন মাসের জন্য দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে গিয়েছে পুরসভার প্রতিনিধিরা। কিন্তু আমাদের পুনর্বাসন নিয়ে কিছু বলে যায়নি। পুরসভা আমাদের দোকান আদৌ দেবে কিনা সেই নিয়েও সরকারি কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি পাইনি। একদিন পুরসভার চেয়ারম্যান নিজে এসেছিলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। কিন্তু তিনিও কিছুই জানাননি। পুনর্বাসনের পাকাপাকি প্রতিশ্রুতি না পেলে আমরা জায়গা ছাড়ব না।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুরসভা পুকুরের একটি অংশ বুজিয়ে দিয়ে সেখানে পার্ক, দোকান বা বাজার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, এই প্রাচীন পুকুর সংস্কার এবং পুকুর পাড়ের সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা পুরসভার উদ্যোগে বেনেপুকুর পাড়ার পুকুরটি সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে পুকুরের পাড় সাজিয়ে তোলা হবে। সেখানকার ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।