কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত তখন প্রায় ১০টা বাজে। কাটোয়া সার্কাস ময়দানের রাস্তায় সাইকেল থেকে পড়ে যান প্রৌঢ় শম্ভু মুখোপাধ্যায়। তিনি শহরের সাহেববাগান এলাকায় থাকেন। সে সময় পথচলতি সুদেব পান নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করেন। তিনি শম্ভুবাবুকে দীর্ঘক্ষণ ধরে পীঠে চাপিয়ে টোটো ডাকতে থাকেন। কেউ তাঁকে টোটোয় চাপাতে রাজি হননি। শেষে ১১টা নাগাদ স্থানীয়দের ধমক খেয়ে একটি টোটো চাপাতে রাজি হয়। সুদেববাবু বলেন, আমি টোটো চালকদের অনুরোধ করি অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সবাই এড়িয়ে গেল।
অভিযোগ, কাটোয়া শহরে রাত হলেই টোটোর দৌরাত্ম্যে বাড়তে থাকে। কেউ বেশি ভাড়া আদায় করে। আবার কেউ নির্দিষ্ট কিছু রুটের বাইরে যাত্রী তুলতে চান না। দীর্ঘদিন ধরেই এমন রেওয়াজ চলে আসছে। তাই এবার টোটোর রাশ টানতে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কয়েকদিন পরেই প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে রুট ঠিক করা হবে। বৈধ টোটোগুলিকে চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট নম্বর যুক্ত হলোগ্রাম স্টিকার দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ও দাঁইহাট মিলে প্রায় সাড়ে ১১০০ টোটো চলাচল করে। কাটোয়ায় টোটোর রাশ টানতে পুলিস বৈধ টোটো চিহ্নিত করতে আগেও কিছু স্টিকার দিয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় তাতেও টোটোর রাশ টানা যায়নি। এরপর শহরে টোটো চালকদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। হলোগ্রাম স্টিকার দেওয়া হলে টোটোর দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে যাবে। এখন অনুমতিবিহীন বহু টোটো চলছে শহরের অলিগলিতে। যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনুমতিবিহীন টোটো স্ট্যান্ড। শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হচ্ছে। নতুন নিয়মে যাদের ওই স্টিকার থাকবে না সেই টোটোগুলি শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।